আমাদের স্বাস্থ্যসাথীর কথা বলে ভাইপো আমেরিকায় চিকিৎসা করান! মমতার স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে খোঁচা অধীরের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৬ সালে একটি দুর্ঘটনার দরুণ চোখে ভয়ংকর চোট পান তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দীর্ঘ চিকিৎসার পর অবশেষে সম্প্রতি আমেরিকায় (America) একটি বেসরকারি হাসপাতালে চোখের অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। বর্তমানে এই ঘটনা নিয়েও বাদ যাচ্ছে না বিতর্কের। অভিষেকের চোখের অসুস্থতাকে বিঁধে আক্রমণ শানিয়ে চলেছে বিরোধী দলগুলি। যদিও ইতিমধ্যেই সেই সকল আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চোখের চিকিৎসা করাতে পৌঁছে যান আমেরিকা। এবং এরপরেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন হয় তাঁর। যদিও পরবর্তীতে এই অপারেশনকে কেন্দ্র করে অভিষেকের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দেয় বিরোধী দলগুলি। দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে তথাগত রায়রা আমেরিকার হাসপাতালে অস্ত্রোপচার বাবদ টাকার হিসেব জানতে চেয়ে আরটিআই করার প্রসঙ্গও তুলে আনেন।

যদিও পরবর্তীতে বিরোধীদের কটাক্ষের জবাবে কুণাল ঘোষ অভিষেকের চোখের ছবিসহ একটি পোস্টে লেখেন, “যাঁরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসায় অভ্যস্ত, এমনকি তার চোখের চিকিৎসা নিয়েও নানা কথা রটান, তাঁরা ভালো করে ছবিটি দেখুন। ওর চোখের আজকের অবস্থা। একটি মারাত্মক গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম ছিল অভিষেক। চোখে ভয়ঙ্কর চোট। কলকাতায়, ভারতের অন্যত্র চিকিৎসা করিয়েছে। সমস্যা কাটেনি। বেশিক্ষণ পড়লে চোখে ব্যথা হয়, মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়, কখনও কখনও ঘুমোতে পারে না। এত জটিল অবস্থা যে একাধিক জায়গায় চিকিৎসা করেও স্বাভাবিকতা ফেরেনি। তাই এখন আরেকবার চেষ্টা। আমেরিকায় অস্ত্রোপচার। চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।”

আর এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “দিল্লিতে ইডি অফিসে নয় ঘন্টা জেরা হয়েছিল। এখন ওকে (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) ছেড়ে দিয়েছে, কারণ নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছে।” তিনি আরো বলেন, “কলকাতা এবং ভারতবর্ষে তো চিকিৎসা করা হয় না। আমাদেরকে স্বাস্থ্য সাথী দিয়ে সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলবে আর ভাইপো যাবে আমেরিকায় চিকিৎসা করাতে।”

যদিও অধীরের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “নিম্ন রুচির পরিচয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্য রাজ্যে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। হয়নি বলে বর্তমানে আমেরিকা গিয়েছে। এর সঙ্গে অন্য কোন ঘটনার সম্পর্ক নেই। ওরা সিবিআই আর ইডির প্রসঙ্গ আনছে। সোনিয়া গান্ধী আমেরিকায় যাওয়ার সময় উনিও কি তদন্তকারী সংস্থার হাত থেকে বাঁচতে পৌঁছে যান?”

adhir chowdhuri wrote a letter to mamata banerjee

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে অক্টোবর মাসে মুর্শিদাবাদ থেকে ফেরার সময় দূর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়ংকর দুর্ঘটনার মুখে পড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে কলকাতার হাসপাতালে অপারেশন করা হয় এবং দুবাইতে গিয়ে চোখের চিকিৎসা পর্যন্ত করেন তিনি আর অবশেষে আমেরিকার একটি হাসপাতালে চোখের অপারেশন করালেন অভিষেক। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে দলীয় কর্মী সমর্থকদের প্রার্থনা, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন অভিষেক।

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর