বাংলাহান্ট ডেস্ক: বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ধুন্ধুমার কাণ্ড সল্টলেক করুণাময়ীতে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে অনশনকারী টেট পরীক্ষার্থীদের (TET Candidates Protest) ওঠাতে ‘বলপ্রয়োগ’ করে পুলিস। সারাদিন ধরেই মাইকিং করছিল পুলিস। ওই স্থান থেকে অনশন আন্দোলন সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু অনশনকারীরা অনড় থাকায় মধ্যরাতে আসরে নামে পুলিস। এই ঘটনায় ধিক্কার জানিয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) -অপর্ণা সেনরা (Aparna Sen)।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের রায়ে জানানো হয়েছিল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তা অমান্য করা যাবে না। সরকারী আধিকারিকরা যাতে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে তার দায়িত্ব পুলিসের উপরে থাকায় ওই স্থান দ্রুত খালি করে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছিল। পালটা অনশনকারীরা রায় মেনে পাঁচজনের জমায়েত করে বসে পড়ে।
শেষমেষ মধ্যরাতে অনশন আন্দোলন তুলতে ‘বলপ্রয়োগ’ করে পুলিস। অনশনকারীদের রীতিমতো চ্যাংদোলা করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। রেহাই পাননি মহিলারাও। অভিযোগ উঠেছে, পুলিস হেনস্থা করেছে অনশনকারীদের। অনেককে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। বাকিদের তোলা হয় ভাড়া করা বাসে। ধস্তাধস্তির মাঝে অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন কয়েকজন। তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৮৪ ঘন্টার আন্দোলন মাত্র ১৫ মিনিটেই ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিস।
পুলিসের বিরুদ্ধে বর্বরতার অভিযোগ এনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অপর্ণা সেন, শ্রীলেখা মিত্ররা। টুইটে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে পরিচালিকা লিখেছেন, ‘অনশণকারীদের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে তৃণমূল সরকার! অহিংস আন্দোলনের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করা হল কেন? সরকারের অনৈতিক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করছি!’
অনশণকারীদের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে তৃণমূল সরকার! অহিংস আন্দোলনের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করা হল কেন? সরকারের অনৈতিক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করছি!
— Aparna Sen (@senaparna) October 21, 2022
সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ শানিয়েছেন শ্রীলেখা। লিখেছেন, ‘পড়াশোনা করে যে এ রাজ্যে চাকরি পায় না সে। বরং পুলিসের গাড়ি চড়ে সে।’ সঙ্গে অপর একটি পোস্টে শ্রীলেখা অনুরোধ করেছেন, তাঁর ফ্রেন্ডলিস্টে এখনো যারা তৃণমূল সমর্থক আছে তারা যেন তাঁকে আনফ্রেন্ড করে দেয়। ‘কোনো তৃণমূল সমর্থককে আর বন্ধু হিসাবে ভাবতে পারছি না’, সাফ বক্তব্য শ্রীলেখার।