বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।’, সেই মহামিলনের মঞ্চ হিসাবে আরও একবার খবরের শিরোনামে দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দরগা (Harzat Nizamuddin Auliya Delhi)। আবারও দীপাবলির প্রদিপের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠল মুসলিম সম্প্রদায়ের এই পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। সাম্প্রতিক সময়ে সাম্প্রতিক বিদ্বেষে বারেবারে কেঁপে উঠেছে দেশ। তারই মাঝে নিজামুদ্দিন দরগা এই আলোর উৎসবে মেতে উঠে যেন সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে চাইল সর্ব ধর্মের কাছে।
তবে এই প্রথম নয় নয়। এর আগেও বহুবার নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দরগা সৃষ্টি করেছে একাধিক সম্প্রিতির নজির। বারবার তাঁরা অংশ নিয়েছে বিভিন্ন হিন্দু অনুষ্ঠানে। প্রাচীন কালে সকল দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে ঈশ্বরের উপাসনা করা হতো। সেই ধারা আজও বজায় রয়েছে। শুধু হিন্দুরা নয়, বরং অহিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরাও নিজেদের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থণা করেন সমস্ত বিপত্তিকে প্রতিহত করার জন্য। এরই মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অপরূপ নিদর্শন দেখা গেল দিল্লিতে। ওই শহরের হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগায় দেখা গেল দীপাবলি উৎসব পালন করতে। সমগ্র দরগা সাজানো হয়েছিল আলোর মালায়। সেই সঙ্গে জ্বালানো হয়েছে প্রদীপ। জানা যাচ্ছে দরগায় আসা ভক্তেরাই ওই প্রদীপ জ্বালিয়েছেন। এই ভক্তদের তালিকায় রয়েছেন অমুসলিম ব্যক্তিরাও। সেই সঙ্গে দিওয়ালি উপলক্ষ্যে মিষ্টিমুখেরও ব্যবস্থা করা হয়।
এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন ওই দরগা কমিটির এক সদস্য। তিনি বলেন, ‘অনেক অমুসলিম ব্যক্তি হজরত মেহবুব-ই-ইলাহির অনুগামী। তাঁরা নিজেদের অনুষ্ঠানে দরগায় আসেন। নিজদের মতো করে ধর্মাচারণ করেন। তাঁরা প্রদীপ জ্বালিয়ে দিওয়ালি পালন করেন। আমাদের মুসলিম ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিরাও তা অনুসরণ করেন। দরগা সকলের জন্য। এখানে সবাই নিজেদের মতো করে ঈশ্বরের উপাসনা করতে পারেন।’
শুধু দীপাবলি নয়, এই দরগায় ঘটা করে পালন করা হয় বসন্ত পঞ্চমী উৎসবও। বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে নয়াদিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন দরগায় হাজির হন বহু মানুষ।৭০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই দরগায় বসন্ত পঞ্চমী উদযাপন করা হচ্ছে।প্রতি বছর বসন্ত পঞ্চমীর দিন দুপুরের প্রার্থনার পর শুরু হয় উৎসব। আয়োজন করা হয় কাওয়ালি সঙ্গীতের।