বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভাইফোঁটার দিন প্রত্যেক বছরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির হন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা থেকে কর্মীরা। সবার “দিদি” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ম করে ফোঁটা দেন সকলকে। তবে এই বছর কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে দেখা গেল একটু অন্য চিত্র। প্রায় ৬ বছর পর মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে ভাইফোঁটার দিন পা রাখলেন মুকুল রায়। এখানেই শেষ নয়। মুকুল ছাড়াও এদিন মমতার বাড়িতে ভাই ফোঁটার অনুষ্ঠানে হাজির হন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়। পুরনো ও নতুন নেতা – কর্মীদের পুনর্মিলনে খুশির হাওয়া মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে।
২০১৯ সালে শেষ বারের মত ধুমধাম করে ভাই ফোঁটা পালিত হয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। তার পরের ২ বছর করোনা মহামারীর জন্য বন্ধ ছিল অনুষ্ঠান । বহু বছর পর মুকুল রায়ের ভাই ফোঁটা নিতে আসা বেশ নজর কেড়েছিল সবার। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়টিকে যদিও পারিবারিক অনুষ্ঠান বলেছেন।এদিন বৈশাখী বন্দোপাধ্যায় জানান, “ভাই ফোঁটা নিল শোভন, আমি আশির্বাদ নিলাম দিদির। মমতার মমত্ব খুবই বেশী। ওদের মধ্যে সবসময় একটা আলাদা টান রয়েছে। মাঝে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখন সেই ভুল বোঝাবুঝির মেঘ কেটে গিয়েছে। বেশ ভালো এটা।”
তবে এদিন মুকুল রায়ের আগমন রীতিমত সবার নজর কেড়েছে। যদিও দশমীর পরও একদিন কালীঘাটে গিয়ে মুকুল রায় বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন । আর ৬ বছর পর ভাইফোঁটায় গেলেন তিনি। শেষবার ২০১৬ সালে গিয়েছিলেন ভাইফোঁটায়। সাধারণত মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ বৃত্তের মধ্যেই পালিত হয়। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন তবে কি মমতার ফের কাছে আসতে চলেছেন মুকুল। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে কি নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত এই ভাই ফোঁটা? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।