বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকাল শুক্রবার দেশের সব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় একটি চিন্তন শিবির। এই চিন্তন শিবিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেখানে তিনি বক্তৃতাও দেন। চিন্তন শিবিরের সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই দেশ থেকে নকশালবাদীদের সমূলে উৎখাত করার ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার বলেন ‘নকশালবাদের হুমকিকে পরাস্ত করতেই হবে ভারতকে। এর জন্য বন্দুকবাজ এবং কলম চালানো, উভয় নকশালদেরই উপড়ে ফেলতে হবে।’
মোদি এদিন আরও বলেন, ‘বিগত কয়েক বছর ধরেই, সরকার সন্ত্রাসকে মূল থেকে ধ্বংস করার জন্য দায়িত্ব সহকারে কাজ করেছে। আমাদের সনস্ত বাহিনীকে একত্রিত করে এই অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আমাদের সব ধরনের নকশালবাদকেই পরাস্ত করতে হবে। তা সে বন্দুকবাজ হোক বা কলম চালনো হোক। দু’ধরনের নকশালবাদীই দেশের জন্য মারাত্মক ভয়ংকর। এদের নির্মূল করতেই হবে। আমাদের এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, ‘নকশালরা যুব সমাজের মধ্যে দেশ সম্পর্কে অশ্রদ্ধা, সমাজের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে।’
সম্প্রতি, গুজরাটে দাঁড়িয়ে ‘শহুরে নকশাল’-দের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন মোদি। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘শহুরে নকশালদের কারণেই ৪০ বছর ধরে নর্মদা নদীর উপর বাঁধ তৈরির কাজ থমকে ছিল।’ মোদি আরও অভিযোগ করেন, নিজেদের রূপ পরিবর্তন করে গুজরাটে আবারও সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন ‘শহুরে নকশাল’-রা। অপরদিকে ভিন্ন মতে বিশ্বাস করা মানুষদের উপর ‘শহুরে নকশাল’-র তকমা চাপিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন বিরোধী নেতারা। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আবারও একবার নকশালদের নিয়ে মোদি বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
পুলিসকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, বুদ্ধি খাটিয়ে এদের মোকাবিলা করতে হবে। কারণ নকশালরা ভদ্রতার মুখোশ পরে সংবিধান রক্ষার কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।এমনকি নকশাল প্রভাবিত জেলাগুলিতে যুব সমাজের সঙ্গে পুলিশকে না মেশারও পরামর্শ দেন তিনি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একাধিক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নকশালপন্থীদের নিশানা করেছেন।