বাংলাহান্ট ডেস্ক: টিআরপির দিক থেকে যতই পিছিয়ে পড়ুক না কেন, ‘মিঠাই’ (Mithai) এর গল্প এগোচ্ছে দুর্বার গতিতে। কয়েক দিন আগেই দেখানো হয়েছে, মিঠাই অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। গোপাল আসার আনন্দে মোদক পরিবার উচ্ছ্বসিত। সিড তো পাগলামিই করে চলেছে রীতিমতো। মিঠাইয়ের খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর রাখা থেকে শুরু করে আস্ত আইসক্রিমের গাড়ি উঠিয়ে নিয়ে আসা পর্যন্ত, সিড বাকি রাখছে না কোনো কিছুই।
ইতিমধ্যেই কয়েক মাসের লিপ নিয়ে মিঠাইয়ের সাধের অনুষ্ঠানও দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে সিরিয়ালে। রীতিমতো গতি নিয়ে এগোচ্ছে সিরিয়াল। অন্যদিকে হাজারো জল্পনা কল্পনায় মেতে দর্শকরা। মিঠাই এর ফ্যানপেজের কমতি নেই নেটপাড়ায়। সেখানে নানান লোক নানান রকম মন্তব্য করে চলেছেন।
ইতিমধ্যেই শোনা গিয়েছে, সিরিয়ালটি নাকি বেশ অনেক দিনের লিপ নিতে চলেছে। সময় এগোতে ঠাম্মি দাদাই চরিত্র দুটি বিদায় নেবে গল্প থেকে। সেই সঙ্গে এনট্রি নেবে সিড মিঠাইয়ের সন্তানও। সেই চরিত্রের জন্য নাকি অভিনেতাও খোঁজা শুরু হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই শোনা গেল আরো এক গুঞ্জন।
মা হতে গিয়েই নাকি মৃত্যু হতে পারে মিঠাইয়ের। অনেকেই মনে করছেন, সম্ভবত দেখানো হবে সন্তান জন্ম দিতে গিয়েই মারা যাবে মোদক বাড়ির বউমা। আবার কেউ কেউ বলছেন, আদিত্য আগরওয়াল প্লাস্টিক সার্জারি করে নতুন রূপে নতুন ষড়যন্ত্র নিয়ে ফিরছে। তার কোনো ষড়যন্ত্রেই হয়তো মৃত্যু হতে পারে মিঠাইয়ের।
পালটা কয়েকজন প্রতিবাদও করেছেন। একজন লিখেছেন, সিদ্ধার্থ আগেই বলেছিল সে মিঠাইকে ছাড়া বাঁচবে না। মিঠাইও বলেছিল, সে কখনো তার উচ্ছেবাবুকে ছেড়ে যাবে না। গোপাল তাদের আয়ু বাড়িয়ে দিয়েছে। এরপরেও এসব কথা কীকরে বলছে মানুষ? হয়তো সিধাই প্রজন্ম শেষ করে আবার নতুন প্রজন্মে আদৃত সৌমিতৃষাকেই দেখানো হবে। কিন্তু একজনকে মেরে আরেকজনকে বাঁচিয়ে রাখার মতো বিষয় কখনোই দেখানো হবে না।
সেই সঙ্গে অনেকের দাবি, ‘খড়কুটো’র মতো দৃশ্য না দেখিয়ে লেখিকা যেন ‘ইউনিক’ মিঠাইকে শেষ পর্যন্ত ‘ইউনিক’ই রাখেন। যদিও জল্পনা কল্পনা চললেও বিষয়টা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি সিরিয়াল নির্মাতারা। আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে নতুন সময় সন্ধ্যা ছটায় দেখা যাবে মিঠাই।