বাংলা হান্ট ডেস্ক: ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) আবহে জর্জরিত সবাই। প্রায় প্রতিদিনই হু হু করে দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের। যে কারণে প্রত্যক্ষভাবে পকেটে টান পড়ছে সাধারণ মানুষের। তবে, এবার ফের একটি দুঃসংবাদ সামনে এল। জানা গিয়েছে, আরও একবার দাম বাড়ল কেরোসিনের (Kerosene)।
এমনিতেই বর্তমানে পেট্রোল-ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া। ঠিক সেই আবহেই ফের দাম বাড়ল কেরোসিনের। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, তিন মাস আগেই দাম বেড়েছিল এই তেলের। তবে, এবার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি নভেম্বর মাসে কেরোসিনের যে বর্ধিত ইস্যু প্রাইস ঘোষণা করেছে, সেখানে দেখা গিয়েছে যে প্রতি লিটারে কেরোসিনে ২ টাকা ৭০ পয়সার মত দাম বৃদ্ধি ঘটেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেরোসিনের ইস্যু প্রাইসের ওপর ভর করে খাদ্য দফতর প্রতি মাসে কেরোসিনের দাম সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এমতাবস্থায়, গত অক্টোবর মাসে রাজ্যে প্রতি লিটার কেরোসিনের দাম ছিল ৮১ থেকে ৮৪ টাকার মধ্যে। পাশাপাশি, কেরোসিন তেলের দাম কমার ফলে অক্টোবরে কেরোসিনের চাহিদা কিছুটা বেড়েও ছিল। এদিকে, পরিবহণের ক্ষেত্রে খরচের পার্থক্য থাকায় রাজধানী শহর কলকাতা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রেশনে বিক্রি হওয়া কেরোসিনের দামে পার্থক্য দেখা যায়।
তবে, বর্তমানে ফের এই দাম বৃদ্ধির জেরে কেরোসিনের চাহিদা কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কেরোসিন ডিলারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্ত। তিনি বলেছেন, কেরোসিন তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে নিম্নবিত্ত মানুষেরা এই তেল ব্যবহার না করে রান্নার জ্বালানি হিসেবে বেশি করে গাছের ডালপালা এবং কাঠ ব্যবহার করবেন। যার ফলে মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়বে পরিবেশ দূষণ।
পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে কেরোসিন তেলের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে একটি মামলা চলছে বলেও জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, আগামী ২২ নভেম্বর ওই মামলা সংক্রান্ত শুনানি রয়েছে। যদিও, আগামী নভেম্বরের মধ্যে কিসের ভিত্তিতে কেরোসিনের দাম নির্ধারণ করা হয়, তা এফিডেবিটের মাধ্যমে জানাতে হবে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রককে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, কয়েক মাস আগে পর্যন্ত তেল সংস্থাগুলির চড়া দামের ওপর ভর করে কেরোসিন তেলের মূল্য প্রতি লিটারে ১০০ টাকার গন্ডী ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এমতাবস্থায়, তখন গ্রাহকদেরও কেরোসিন তেল কেনার প্রবণতা কমে যায়। তবে, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে দাম কিছুটা কমতে শুরু করে। যদিও, এবার উৎসবের মরশুম শেষ হতে না হতেই ফের কেরোসিনের দাম বৃদ্ধিতে মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তদের।