বাংলাহান্ট ডেস্ক : ধীরে ধীরে শীতের আমেজ বাড়ছে শহরে। এবার মরশুমের প্রথম তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে সিকিমে। পরপর দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Office)। অল্প হলেও তুষারপাতের সম্ভাবনা সিকিম সহ সংলগ্ন পার্বত্য এলাকায়। শীত আসার আগে বৃহস্পতি – শুক্রবারে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টিরও সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে৷
এক নজরে আজকের আবহাওয়া :
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা : ৩০.৮°সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা : ২০.৭° সেলসিয়াস
আর্দ্রতা : ৬৮%
বাতাস : ১৩ কিমি/ঘন্টা
মেঘে ঢাকা : ৭১%
আজকের আবহাওয়া : কলকাতায় সকাল থেকেই মনোরম পরিবেশ থাকবে। তবে আংশিক মেঘলা আকাশ। কাল থেকে ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা থাকার সামান্য সম্ভাবনাও রয়েছে। আজ বেলা বাড়লে মনোরম পরিবেশ উধাও হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শহরের তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে থাকবে। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। স্বাভাবিকের থেকে যা এক ডিগ্রি বেশি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্বাভাবিক থেকে এক ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৪৩ থেকে ৯১ শতাংশ।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া : নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে পারে। কমবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। শুষ্ক আবহাওয়া এবং শীতের আমেজ শুরু হবে নভেম্বরের মাঝামাঝি। তবে আজ মরশুমের প্রথম তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে সিকিমে। পরপর দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবেই হালকা বৃষ্টি হতে পারে। খুব সামান্য হলেও তুষারপাতের সম্ভাবনা সিকিম-সহ সংলগ্ন পার্বত্য এলাকায়। বৃহস্পতি – শুক্রবারে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজ্যের বাকি আপাতত হেমন্তের মনোরম পরিবেশই থাকবে। আগামী চার পাঁচ দিন বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের সমতল এলাকায়। তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকবে। নতুন করে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা আপাতত নেই। পশ্চিমের জেলাগুলিতে হালকা শীতের আমেজ সকাল ও সন্ধ্যায়।
আগামীকালের আবহাওয়া : আবারও বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড়৷ এই ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন শ্রীলঙ্কা উপকূলে অবস্থান করছে। তামিলনাড়ু এবং কেরল জুড়ে সাইক্লোনিক মুভমেন্ট থেকে দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর পর্যন্ত একটি লাইন প্রসারিত হচ্ছে। এই কারণেই দক্ষিণ ভারতের একাধিক এলাকায় বৃষ্টি চলবে৷