বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতীয় রেলকে বলা হয় দেশের লাইফলাইন। যদিও এখনও রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেই থাকে। ট্রেনে যাত্রীদের মালপত্র চুরি যাওয়া (Indian Railways theft) থেকে শুরু করে মাঝে মধ্যেই ডাকাতির অভিযোগ ওঠে। এমন অবস্থায় আরও একটি চুরির ঘটনা সামনে এসেছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে। চলন্ত ট্রেন থেকে এক যাত্রীর এক কোটি টাকা মূল্যের সোনা চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ। এছাড়াও নগদ দু’লক্ষ টাকাও খোয়া গিয়েছে ওই যাত্রীর কাছ থেকে।
ঘটনাটি ঘটেছে কামাখ্যা এক্সপ্রেসে আরা ও পটনা স্টেশনের মাঝে। ওই যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যদিও ঘটনায় বেশ কিছু রহস্য আছে বলে মত তাদের। তাই ওই ব্যবসায়ী যাত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গয়না ও নগদ টাকা চুরি যাওয়ার পর পটনার রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ জানান রাজস্থানের নগৌর জেলার ব্যবসায়ী মনোজ কুমার জৈন।
অসমের তপন নগরে ব্যবসা করেন তিনি। এদিন সেখানেই যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে দু’টি ব্যাগ ছিল বলে জানিয়েছেন মনোজ। ওই ব্যবসায়ী পুলিশকে জানিয়েছেন, চুরি যাওয়া ২ কেজি সোনা তাঁর পারিবারিক সম্পত্তি ছিল। ১০০ জন পাতিদারের মধ্যে তা ভাগ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন মনোজ।
ট্রেনে ব্যাগ দু’টি মাথার নীচে রেখে ঘুমাচ্ছিলেন। আরা স্টেশন অবধি ব্যাগগুলি সে ভাবেই ছিল। তারপরই উধাও হয়ে যায় সেগুলি। রেল পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসপি অনিল কুমার জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা করা হয়েছে।
মনোজ কুমার জৈন পুলিশে অভিযোগ জানানোর পর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে তারা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে। তবে সেখানে কাউকে ওই ব্যাগগুলি নিয়ে যেতে দেখা যায়নি। পটনা জংশন ও আরা স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই চুরির ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
পুলিশের সন্দেহ, ওই গয়না ও টাকা নিজেই আত্মসাৎ করে চুরির অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজস্থানের ওই ব্যবসায়ী। তদন্তকারী দল গয়না ও টাকা আত্মসাতের দিকটিও খতিয়ে দেখছে। তারা জানিয়েছে, বার বার নিজের বয়ান বদল করছেন মনোজ। তবে তদন্ত শেষ হলেই বোঝা যাবে আসল ঘটনাটি ঠিক কী।
তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর