বাংলা হান্ট ডেস্ক: দিঘাতে (Digha) প্রায়শই মৎস্যজীবীদের জালে কখনও কোনো বিরল প্রজাতির মাছ, আবার কখনও বা মূল্যবান ভোলা মাছ উঠে আসার প্রসঙ্গ সামনে আসে। এমনকি, এই মাছগুলির নাগাল পেয়ে ভালোই লক্ষ্মীলাভ করেন মৎস্যজীবীরা। তবে, এবার দিঘাতে খোঁজ মিলল এক রাক্ষুসে মাছের। শুধু তাই নয়, ওই মাছটিকে দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমান দিঘা মোহনার মাছের আড়তে।
এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, জালে ধরা পড়া ওই মাছটিকে দেখলেই ভয় পাবেন সকলে। মূলত, মাছের মুখটি প্রায় কয়েক হাত লম্বা। পাশাপাশি, সেখানে রয়েছে একাধিক করাতের মতো ধারালো দাঁত। এছাড়াও, মাছটিকে অনেকটা হাঙরের মত দেখতে। শুধু তাই নয়, ওই রাক্ষুসে মাছটির ওজন শুনেও ভিরমি খাবেন সবাই। মৎস্যজীবীদের মতে, মাছটির ওজন ছিল প্রায় ৫৫০ কেজি।
এমতাবস্থায়, স্থানীয় ভাষায় ওই মাছটিকে “চিরুনি ফলা মাছ” (Sawfish) হিসেবে অভিহিত করা হয়। দিঘার মাছ ব্যবসায়ীদের মারফত জানা গিয়েছে, এই চিরুনি ফলা মাছটির পাখনার কারণেই এর কদর বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত, পাখনা যত বড় হয়, সেক্ষেত্রে মাছেরও দাম তততাই বেশি হয়। পাশাপাশি, ওই পাখনা থেকে বিভিন্ন জীবনদায়ী ওষুধ তৈরি হয় বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে, রবিবার সকালে দিঘা মোহনার মাছের আড়তে এই মাছকে দেখে রীতিমত সাড়া পড়ে যায় সর্বত্র। এই প্রসঙ্গে এক মাছ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ‘‘চিরুনি ফলা মাছ এখন আর জালে ওঠে না। সমুদ্রের অনেকটা গভীরে এই মাছ দেখতে পাওয়ায় যায়। তবে, আগে এই মাছ প্রায়শই জালে উঠত।’’
এছাড়াও, ওই ব্যবসায়ী আরও জানিয়েছেন যে, রবিবারই এই দৈত্যাকার মাছটি ওড়িশার পারাদ্বীপের একটি ট্রলারে ধরা পড়ে। তারপর সেখান থেকে মাছটিকে দিঘা মোহনায় বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসা হয়। পাশাপাশি, দিঘা মোহনার জিকেডি আড়তে মাছটি নিলামে উঠেছে। এই প্রসঙ্গে মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, চিরুনি ফলা মাছ বিক্রির মাধ্যমে মিলবে কয়েক হাজার টাকা।