বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। তার পূর্বে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে শাসকদলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যাহত। সেই ধারা বজায় রেখে এবার দলীয় কোন্দলের জেরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর জখম এক তৃণমূল (Trinamool Congress) সমর্থক এবং আরও এক নাবালক। বোমা ফেটে তৃণমূল সমর্থকের পা উড়ে গিয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই দুজনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশের জলে সাত জন অভিযুক্ত।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল সাঁইথিয়া থানা সংলগ্ন বহরাপুর গ্রাম। এলাকায় আচমকাই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। বোমা বিস্ফোরণের কারণে গুরুতর আহত দুই। এক তৃণমূল সমর্থকের পা উড়ে গিয়েছে। অপর এক নাবালক গুরুতর জখম। দুজনকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়, পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি এবং এরপর বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর।
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। কয়েকদিন পূর্বেও সিউড়িতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এক যুবক প্রাণ হারায়। পরবর্তীতে ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে সিউড়ি এলাকায় বোমাবাজির ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় সর্বত্র। এক্ষেত্রে শাসকদলের তরফ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি।
সূত্রের খবর, সাঁইথিয়ায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন নামে তৃণমূল সমর্থকের পা উড়ে গিয়েছে। এক নাবালক (মুজাফফর হোসেন) গুরুতর জখম। উল্লেখ্য, সাঁইথিয়া তৃণমূল ব্লক সভাপতি সাবের আলি খান এবং পঞ্চায়েত প্রধান তুষার মণ্ডলের মধ্যে বহুদিনের বিবাদ। পরবর্তীতে তা আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং অবশেষে ব্লক সভাপতির লোকজন বাতাসপুর স্টেশনের নিকট ফাইজুল হোসেন নামে এক তৃণমূল সমর্থককে বেধরক মারধর করে বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, ফাইজুল হোসেনকে বাঁচাতে গিয়েই বিপদের মুখে পড়ে সাদ্দাম হোসেন এবং মুজাফফর হোসেন। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দুজনেই ইতিমধ্যে গুরুতর জখম হয়েছে। গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে আক্রান্ত পরিবারের এক সদস্যর অভিযোগ, “অতীতে বিবাদের কারণে আমার ভাই (ফাইজুল হোসেন) মারধর করা হয়। পরবর্তীতে তাকে বাঁচাতে গেলে সাদ্দাম হোসেন এবং মুজাফফর হোসেন বোমা বিস্ফোরণের কারণে জখম হয়ে পড়ে। এমনকি, বর্তমানে আমার ভাইয়েরও কোন খবর মিলছে না।”
এই ঘটনায় মুহুর্তের মধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা এসপি জানান, “বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সাত জন দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়েছে। দেশি বোমা উদ্ধার করার পাশাপাশি অভিযুক্তদের উদ্দেশ্যে খোঁজ চালানো হচ্ছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।”