বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গঙ্গা আরতি বলতে উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) বারাণসী (Varanasi) আরতির কথাই সর্বপ্রথম মাথায় আসে। তবে এবার আরতি দেখার জন্য অন্য কোথাও যাওয়ার দরকার নেই! আগামী দুই বছরের মধ্যে কলকাতাতে (Kolkata) শুরু হতে চলেছে গঙ্গা আরতি, এদিন ঠিক এই নির্দেশই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভাকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি আরো বেশ কয়েকটি বিষয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) কড়া নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবারের মতো মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকে গঙ্গার সৌন্দর্য বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ, আলোর আধুনিকত্ব এবং অন্যান্য একাধিক ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দেন মুখ্যমন্ত্রী আর এবার যোগীরাজ্য উত্তর প্রদেশের আদলে গঙ্গা আরতির প্রসঙ্গ শোনা গেল মমতার গলায়।
একইসঙ্গে কলকাতায় গঙ্গা আরতি যাতে গোটা রাজ্যের শোভা বৃদ্ধি করে এবং তা উত্তরপ্রদেশের তুলনায় যাতে কোন অংশে কম না হয়, সে বিষয়েও এদিন কলকাতা পুরসভাকে নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “গঙ্গা আরতির জন্য কলকাতায় একটা জায়গা করা হোক, এটাই আমি চাই। উত্তর প্রদেশ এবং দেশের অন্যান্য একাধিক জায়গায় গঙ্গা আরতি হলেও আমাদের এখানে হয় না। আমি চাই, এখানে এই ব্যবস্থা করা হোক। এমন একটা জায়গায় এই ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে, যেখানে সাধারণ মানুষের জন্য বসার জায়গা বর্তমান, নাহলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যেখানে মন্দির কিংবা পীঠস্থান আছে, সেই জায়গায় আরতির ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য দু বছরের সময়সীমা দেওয়া হল।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর গলায় উঠে আসে প্রিন্সেপ ঘাটের রক্ষণাবেক্ষণের প্রসঙ্গ। এক্ষেত্রে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে একপ্রকার ধমক দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রিন্সেপ ঘাটের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। কলকাতার মানুষ ওখানে ঘুরতে যান। পৌষ মেলা হয়। তা সত্ত্বেও মেরামতি করা হচ্ছে না কেন? সরকার, মন্ত্রী বদলালেও নীতি একই থাকে। তাই আমাদের প্রতিনিয়ত রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা দেখা দরকার।”
পাশাপাশি হাওড়া থেকে নবান্ন পর্যন্ত রাস্তায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, আলো এবং অন্যান্য একাধিক বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সব সময় নেতিবাচক কথা বলা হয়ে চলেছে। আমাদের এসব ছেড়ে কিভাবে পরিস্থিতির উন্নতি করা যায়, সেদিকে নজর দেওয়া দরকার ।নবান্নের কাছে এত সরকারি অফিস রয়েছে, তাও কেন ঠিকমতো সকল ব্যবস্থাপনা দেখা হচ্ছে না?” এরপর সকলকে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতেও নির্দেশ দেন মমতা।