বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রক্ষকই যখন ভক্ষক! এক নির্মম ঘটনার সাক্ষী রইল বিহার (Bihar) ! ১৪ বছরের কিশোরীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ৪ নাবালক। পাহাড়ের কাছে নির্জন জায়গায় অকথ্যভাবে চলে শারীরিক অত্যাচার। গণধর্ষণের পর নাবালিকাকে ঘটনাস্থলেই ফেলে রেখে চম্পট দেয় ওই চার দুষ্কৃতী।
নির্যাতিত অবস্থায় নাবালিকা রাস্তা দিয়ে যাওয়া এক প্রৌঢ়কে দেখে তার কাছে সাহায্যের আশায় ছুটে যায়, তার পরের ঘটনা আরও নির্মম। সাহায্য তো দূরের কথা সেই প্রৌঢ়ের হাতে ফের ধর্ষণের শিকার হতে হল নির্যাতিতাকে ।
ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের কাইমুর জেলায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই প্রৌঢ় একটি প্রাথমিক স্কুলের স্কুলের প্রধান শিক্ষক (Headmaster)। অদ্ভূতভাবে ধর্ষণের পর নাবালিকাকে তার বাড়িতেও ছেড়ে দিয়ে আসে অভিযুক্ত শিক্ষক। সেইসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা-মাকে জানায়, গণধর্ষণের হাত থেকে উদ্ধার করে তাদের মেয়েকে বাড়িতে ফেরান তিনি।
অন্যদিকে, বাড়ি ফেরার পরই পরিবারের লোকেদের সমস্ত কথা খুলে বলে নাবালিকা। নির্যাতিতা জানিয়েছে, ধর্ষণের সময় তার চিৎকার যাতে কারও কানে না তার জন্য ১ জন নাবালক সারাক্ষণ তার মুখ হাত দিয়ে চেপে রেখেছিল। ঘটনাকালে এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন ৫৫ বছর বয়সি ওই প্রধান শিক্ষক। তাকে দেখতেই ঘটনাস্থল থেকে পালায় ওই চার ধর্ষক। এর পর ধর্ষিতা সাহায্যের আশায় শিক্ষকের কাছে গেলে তাকে ফের ধর্ষণ করে বছর ৫৫ এর ওই শিক্ষক ।
পরিবারের লোক সমস্ত ঘটনা জানার পর শনিবার মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত ওই চার নাবালকের মধ্যে দুজন নাবালিকার সহপাঠী। বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে নির্যাতিতা কিশোরী, চলছে চিকিৎসা।