বাংলাহান্ট ডেস্ক : সময়টা সত্যিই খারাপ যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। ২৪ ঘন্টাও হয়নি সামনে এসেছে ডিএলএড পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা। এরই মধ্যে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করল পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। অভিযোগ উঠে আসছে, টেট পরীক্ষায় কোন কোন পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ছাড়িয়ে গিয়েছে পূর্ণ নম্বরকেও! অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। টেটের তালিকা দেখে রীতিমত চক্ষু চড়কগাছ অনেকের। দেখা যাচ্ছে পরীক্ষার্থী ১০০ এ পেয়েছেন ১০৯!
কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্যানেল ভুক্তদের নম্বর ব্রেকআপ করার। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশ পাওয়ার পর তৎপর হয়ে ওঠে। পর্ষদের পক্ষ থেকে সেই নম্বর প্রকাশ করা হয় সোমবার রাতে। নম্বর প্রকাশ হতেই সামনে আসে বিভ্রাট।
সোমবার রাতে প্রত্যেক টেট প্রার্থীর মাধ্যমিক থেকে টেটে প্রাপ্ত নম্বর তালিকা আকারে প্রকাশ করে পর্ষদ। সেই তালিকায় দেখা গেছে অনেক পরীক্ষার্থী পেয়েছেন ১০০ শতাংশ নম্বর। আবার কেউ কেউ পেয়েছেন ১০৯ শতাংশ! অর্থাৎ, কেউ কেউ পূর্ণ মানের থেকেও বেশি নম্বর পেয়েছেন।
বিষয়টি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের তরফ থেকে ভুল স্বীকার করা হয়। অশ্বাস দেওয়া হয় যে দ্রুত এই ভুল সংশোধন করা হবে। তবে টেট তালিকা নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। কিছুদিন আগেই টেট তালিকা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কারণ সেই তালিকায় দেখা গিয়েছিল যে টেট উত্তীর্ণদের অনেকের নাম পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের নামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল সেইবার বিষয়টি নিয়ে সাফাইও দিয়েছিলেন মিডিয়ার সামনে।