বাংলাহান্ট ডেস্ক : এক উর্দিধারী ট্রাফিক ওসি সংবর্ধনা নিচ্ছেন তৃণমূলের মঞ্চ থেকে। মঞ্চের উপর তৃণমূলের দলীয় পতাকা। মেদিনীপুরের পর ফের একই ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানে। আইনত কর্তব্যরত অবস্থায় কোন পুলিশকর্মী অংশগ্রহণ করতে পারেন না কোন দলীয় অনুষ্ঠানে। এছাড়াও থেকে যায় নিরপেক্ষতার প্রশ্ন। কিন্তু খাগড়াগড়ে তৃণমূলের একটি সভামঞ্চে উর্দি পড়ে কর্তব্যরত অবস্থায় হাজির হলেন বর্ধমানের ট্রাফিক ওসি বিশ্বনাথ পাইন। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে নিলেন সংবর্ধনা। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার শোকজ করেছেন ওই ওসিকে।
খাগড়াগড় তৃণমূল কংগ্রেস ও খাগড়াগড় যুব সংঘ মিলিতভাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আয়োজন করে মশারি বিতরণ কর্মসূচির। জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রাসবিহারী হালদার, বিধায়ক খোকন দাস সহ একাধিক দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে। দেখা যায় এই অনুষ্ঠান মঞ্চে ট্রাফিক পুলিশের ওসি বিশ্বনাথ পাইন ডিউটিরত অবস্থায় ওঠেন সংবর্ধনা নিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়।
বিশ্বনাথ পাইন বর্ধমান গোলাপবাগ ট্রাফিক পোস্টের ওসি। কর্তব্যরত অবস্থায় দলীয় মঞ্চে ওঠার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, এই অনুষ্ঠানটি একটি ক্লাবের বলেই জানতেন তিনি। তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। সেই সময় উদ্যোক্তারা অনুরোধ করায় তিনি কিছুক্ষণের জন্য ওঠেন অনুষ্ঠান মঞ্চে।
যদিও বিরোধীরা এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র অভিযোগ করেছেন, “মমতার পুলিশে পরিণত হয়েছে রাজ্যের পুলিশ। আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।” বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস এর বক্তব্য, “এই কর্মসূচিটি ছিল একটি ক্লাবের। সরকারি আধিকারিকরা যেতে পারেন না দলীয় কর্মসূচিতে। খোঁজ নিয়ে দেখব কি হয়েছে।”