বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুহূর্তে মুহূর্তে নয়া মোড় নিচ্ছে গরুপাচার কাণ্ড (Cattle Smuggling Case)। গত ১১ অগস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে গরুপাচার কাণ্ডের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে সিবিআই। কেটে গিয়েছে বহু মাস। এখনো শ্রীঘরেই ঘানি টেনে দিন কাটছে বীরভূমের বাঘের। অন্যদিকে রবিবার গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তিন ব্যবসায়ীকে তলব করল সিবিআই (CBI)। তুঙ্গে জল্পনা।
সূত্রের খবর, আগামীকাল সোমবার সেই তিন ব্যবসায়ীকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল কালো টাকা সাদা করার জন্য যে ভুয়ো কোম্পানি খুলেছিলেন সেই কোম্পানির ডিরেক্টর পদে বসিয়েছিলেন তার সেই ঘনিষ্ঠদের।
এ বিষয়ে কি জানাচ্ছে সিবিআই? সিবিআই সূত্রে খবর, এসব ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করতো অনুব্রত মণ্ডল। সেইসব ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর পদে আসীন ছিলেন এই তিন ব্যবসায়ী। পাচারের গোটা বিষয়টি এই ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা জানতেন বলে মনে করছে সিবিআই। পাশাপাশি, কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক সম্পত্তির হদিসও মিলেছে তাদের। বেশকিছু নথি হাতে এসে পৌঁছেছে তদন্তকারীদের। তার ভিত্তিতেই এই তিন ব্যবসায়ীকে তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গরুপাচার কাণ্ডে হেভিওয়েট বীরভূম তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। সিবিআই তরফে তদন্তে অগ্রগতির কথা জানিয়ে আদালতে একটি সিডি পেশ করা হয়েছে। যা দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন বিচারক।
এসবের মাঝে এই পরিস্থিতিতে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই তিন ব্যবসায়ীকে তলব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে অধিকাংশ মানুষ। এই ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে গরু পাচার কাণ্ডের মূলে তদন্তকারীরা পৌঁছতে পারেন কি না সেটাই এবার দেখার বিষয়।