বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্রমশ্যই গড়াচ্ছে লালন মৃত্যু কাণ্ডের জল। সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডে (Bagtui) মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) রহস্য মৃত্যুতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। সেই মতো রাজ্য পুলিশ তরফে মৃত লালন শেখের স্ত্রীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সাত CBI অফিসারের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে FIR।
এই মুহূর্তে লালন শেখ মৃত্যু রহস্যের তদন্ত ভেদ করতে ময়দানে নেমেছে সিআইডি (CID)। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরের হেফাজতে কী করে আত্মহত্যা করল অভিযুক্ত লালন শেখ? কেন তাঁর নিরাপত্তা এতটা ঠুনকো ছিল! এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সত্যিই আত্মহত্যা নাকি খুন! এই প্রশ্নই দানা বেঁধেছে সকলের মনে। এরই মধ্যে এবার লালন শেখের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সিবিআইকে নোটিস পাঠাল সিআইডি। রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, আত্মহত্যা নাকি উদ্দেশ্য মাফিক খুন করা হয়েছে লালনকে। সে সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজেই নোটিস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।
সূত্রের খবর, রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা তরফে নোটিসে একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। নোটিসে উল্লেখিত প্রশ্নগুলির মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, লালনের মৃত্যু হল কীভাবে? ক্যাম্পের ইনচার্জ কে ছিলেন? ঘটনার সময় ক্যাম্পে কারা ছিলেন? তাঁদের ভূমিকা ঠিক কী? সিনিয়র তদন্তকারী আধিকারিক ছিলেন কিনা? ক্যাম্পে সিসিটিভি ছিল কিনা? থাকলে সেই ফুটেজও চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন প্রাক্তন তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। এরপর রাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে। সেই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় ৭ জন। এই ঘটনার পেছনে মূল অভিযুক্ত ছিলেন মৃত লালন শেখ। এরপর ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে পাকড়াও করা হয় লালনকে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। তারপর থেকে তদন্তের জন্য রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্য়াম্পে রাখা হয়েছিল অভিযুক্ত লালনকে। সেই ক্যাম্পের শৌচাগার থেকেই বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া যায় লালনের মৃতদেহ। এরপরই লালন মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শোরগোল পরে যায় গোটা বাংলায়। এবার এই ঘটনায় CID দ্বারা প্রেরণ করা প্রশ্নের কী উত্তর দেন সিবিআই আধিকারিকরা সেটাই এবার দেখার বিষয়।