বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) ভোটের নির্ঘন্ট এখনো ঘোষনা হয়নি ঠিকই, তবে ইতিমধ্যেই জয়লাভের উদ্দেশ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। চলছে সভা, পাল্টা-সভা, দল মজবুত করার লড়াই। অন্যদিকে, এক্কেবারে বিপরীতমুখী ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে গেরুয়া বাহিনী। পঞ্চায়েত ভোট প্রাক্কালে জোর ধাক্কা খেল বঙ্গের বিজেপি (BJP) শিবির। উত্তরবঙ্গের (Uttarbanga) একশোর বেশি বিজেপি নেতাকর্মী নাম লেখালেন তৃণমূলে (TMC)।
একধক্কায় বিজেপিতে যথেষ্ট ভাঙন ধরাল ঘাসফুল বাহিনী। সূত্রের খবর, রবিবার উত্তরবঙ্গের কোচবিহার (Coochbehar) জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে ১০০-র বেশি বিজেপি নেতাকর্মী বিজেপি ছেড়ে নাম লেখালেন শাসক দলে। জানা গিয়েছে, কোচবিহার বিজেপির ১৪ নম্বর মণ্ডলের ৭ নম্বর শক্তি প্রমুখ সুধীর বর্মণের সঙ্গে একশোরও বেশি বিজেপি নেতাকর্মী কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের হাত ধরে এদিন তৃণমূলে যোগ দেন।
এই প্রসঙ্গে, জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে বলেন, ‘‘ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল ছিল। সুধীর বর্মণ, দিলীপ বর্মণ, প্রদীপ বর্মণ প্রমুখ গত লোকসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচনে এই সমস্ত এলাকায় বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন। গত নির্বাচনগুলিতে এই এলাকায় তৃণমূল ভাল ফল করতে পারেনি। তাই সুধীররা তৃণমূলে যোগদান করায় স্বাভাবিক ভাবেই ওই সমস্ত এলাকায় আমাদের সাংগঠন শক্তিশালী হবে।’’
তবে এ বিষয়ে পাল্টা বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়ের অভিযোগ ,‘‘বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল কর্মীরা গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে অতিষ্ঠ হয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করছেন। কিছু কিছু জায়গায় তৃণমূল আমাদের কর্মীদের ভয় দেখিয়ে জোর করে তাদের দলে যোগদান করাচ্ছে।’’ পাশাপাশি তিঁনি আরও বলেন , ‘‘ওরা ভয় দেখিয়ে যতই বিজেপি কর্মীদের দলে যোগদান করাক, মন থেকে ওঁরা বিজেপি কর্মীই থাকবেন। তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়েও ওঁরা তৃণমূলের কর্মী হবেন না।’’
এবিষয়ে অবশ্য পাল্টা মন্তব্য করে তৃণমূলের দাবি, উন্নয়নের সঙ্গে থাকবেন বলেই বিজেপি ছেড়়ে দলে দলে তৃণমূল যোগ দিচ্ছেন। সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে ক্রমশ্যই প্রকাশিত রাজ্যে শাসক-বিরোধী দামামা