বড়সড় ফাটল উত্তরবঙ্গের এক ব্যস্ত সেতুতে! চরম ভোগান্তির আশঙ্কা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাতাসে এখন শীতের আমেজ। আর কিছুদিন পর শুরু হয়ে যাবে বড়দিনের ছুটি। এমন শীতের মরশুমে প্রচুর মানুষ নিজেদের ঘুরতে যাওয়ার স্থান হিসেবে বেছে নেন উত্তরবঙ্গকে। তবে শীতের মরশুমে ভোগান্তির শিকার হতে পারেন পর্যটকরা। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের করতোয়া সেতুতে দেখা গেছে ফাটল। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ররা এই খবর পেয়েই ছুটে যান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে।

পরিদর্শনের পর যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় শিলিগুড়ি–গাজলডোবার মধ্যে যোগাযোগকারী করতোয়া সেতুতে। পূর্ত দফতরের তরফে ব্যারিকেড দিয়ে মাটি তুলে সেতুর দুই দিকের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। অন্য পথ দিয়ে হচ্ছে যান চলাচল। স্থানীয় সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা সেতুতে এই ফাটল লক্ষ্য করেন রবিবার বিকেলে।

এরপর খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। পূর্ত দপ্তরের অধিকর্তাদের কাছে দ্রুত পৌঁছায় এই খবরটি। এরপর দ্রুত তারা যান ঘটনাস্থলে। পর্যবেক্ষণের পর পূর্ত দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, এই সেতুটি বহু পুরনো। প্রচুর ভারী যানবাহন চলাচল করে এই সেতুর উপর দিয়ে। বহন ক্ষমতা হারিয়েছে এই সেতু। ফাটল ধরে গিয়েছে গার্ডারে। এর ফলে এই মুহূর্তে কোনরকম যান চলাচল করানো যাবে না এই সেতু দিয়ে।

অন্যদিকে, সেতুটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা।শিলিগুড়ি–গাজলডোবার এই সেতুটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে চরম সমস্যায় পড়বেন পর্যটকরা। গাজলডোবাতে ‘ভোরের আলো’ পর্যটন প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে বহু পর্যটক এই সেতুর মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছান।bde3d road closed.jpg.gallery

পূর্ত দফতরের জলপাইগুড়ির চিফ ইঞ্জিনিয়র অজিত সাহা জানিয়েছেন, “এই সেতু দিয়ে এখন কোন রকম ভাবেই যান চলাচল করানো যাবে না। বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এখন দেখার বিষয় এই সেতুটিকে সারানো হবে নাকি নতুন করে নির্মাণ করা হবে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা আগে থেকে এই বিষয়টি লক্ষ্য করায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর