বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গ ছেড়ে এবার দিল্লির উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবেন গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত, তথা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Monda)। অবশেষে গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) তদন্তের জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি (Delhi) নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সোমবারই দিল্লির বিশেষ আদালত তরফে কেষ্টর রাজধানী যাত্রার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা আটকাতে তাঁর হেভিওয়েট আইনজীবী কপিল সিব্বল মরিয়া প্রচেষ্টা চালানোর পরও কোনো স্বস্তির খবর আনতে পারল না কেষ্টর ঝুলিতে।
আদালতের এই নির্দেশের পরই বঙ্গ জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কেষ্টকে কটাক্ষ করে তাঁর দিল্লি যাত্রা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বাম-রাম নেতারা। তবে অন্যদিকে, আদালতের এই নির্দেশে একেবারেই খুশি নয় রাজ্যের শাসক দল। ‘বাংলায় কী সমস্যা হচ্ছিল যে কেষ্টকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?’ এমন প্রশ্নও উঠে এসেছে তৃণমূলের অন্দর থেকে। অন্যদিকে, অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা প্রসঙ্গে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, ‘আদালতের উপর বিশ্বাস আছে। আদালত কখনো অবিচার করে না।’ শুধু তাই নয়, এদিন ফের অনুব্রত মণ্ডলকে ‘বীরভূমের বাঘ’ বলে সম্বোধন করেন ফিরহাদ। পাশাপাশি তিঁনি বলেন ‘উপরে ভগবান ও নিচে আদালত আছে। অনুব্রতর নিশ্চয়ই সুবিচার মিলবে।’
প্রসঙ্গত, জেলবন্দী অনুব্রত মণ্ডলের প্রশংসা করে কিছু দিন আগেই রামপুরহাটে এক দলীয় সভায় তাঁকে ‘বীরভূমের বাঘ’ বলে অভিহিত করেন ফিরহাদ। সেদিনের নিজের সেই দাবি নিয়ে আজও অনড় তিঁনি। অন্যদিকে একজন কয়লা পাচার, গরু পাচারের অভিযুক্তকে বাঘ বলা নিয়ে ফিরহাদের মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি।
উল্লেখ্য ,গরু পাচার মামলায় এর আগেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল ইডি। বর্তমানে সায়গল দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন। আর এবার অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করবেন ইডি অফিসাররা। তবে কী অনুব্রতর ও ঠাঁই হবে দিল্লির তিহাড়ে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির অন্দরে। অন্যদিকে কেষ্টর দিল্লি যাত্রার নির্দেশ দেওয়ার পরই ইডির অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তোড়জোড়। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল ১০ টার মধ্যেই অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে পাড়ি দিতে পারে ইডি। এবার পরবর্তীতে এই মামলার জল কোন দিকে গড়ায় সেই দিকেই এখন মুখিয়ে গোটা বঙ্গবাসী।