বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২২ পেরিয়ে বর্তমানে ২৩। বছর ফুরিয়ে গেলেও শেষ হল না ‘তারিখ রাজনীতির খেলা’। নতুন বছরের শুরুতে ফের একবার সেইরকমই হুঁশিয়ারি শোনা গেল বিরোধী দলনেতার কণ্ঠে। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) তমলুক সাংগঠনিক জেলার ভগবানপুর ১ উত্তর মণ্ডলের কর্মী সম্মেলনে পৌঁছে আরও একবার খুব শীঘ্রই তৃণমূলকে সাফ করার কথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
প্রসঙ্গত, ২২ এর শেষের দিকে বিরোধী দলনেতার গলায় প্রথম শোনা যায় তারিখ হুঁশিয়ারি। বঙ্গের মানুষকে গত বছর ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বরের অপেক্ষা করতে বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য ছিল, ২২ এর ডিসেম্বরেই পড়ে যাবে রাজ্যের তৃণমূল (Trinamool) সরকার। বিরোধী দলনেতার কথামতো ওই তিন তারিখের দিকে চেয়ে ছিল গোটা বঙ্গবাসী। তবে শুভেন্দু হুঁশিয়ারির তিন দিনই গেছে ডাহা জলে। হয়নি কোনও ধামাকা।
এরপরেই শাসক দলের কটাক্ষের মুখে পড়েন বিরোধী দলনেতা। অবশেষে ডিসেম্বর ডেডলাইনের অন্তিম দিনে তিঁনি নিজেই জানান দেন সেদিন কিছু ঘটার সম্ভবনা নেই। এই ছিল ২০২২ এর ঘটনা। তবে নতুন বছর পরতে না পরতেই নিজের ঝোলায় ফের তৃণমূলকে সাফ করার হুঁশিয়ারি নিয়ে হাজির শুভেন্দু অধিকারী।
ঠিক কী বললেন বিরোধী দলনেতা? এদিন তিঁনি বলেন “তৃণমূলের চোরেদের সাফাই করতে হবে। বড় চোর ডাকাতদের ডিসেম্বরে সাফাই করতে পারিনি। তবে এর মধ্যে করব। বড় ডাকাতদের আমরা তুলব। ছোট ডাকাতদের আপনারা একদম গোড়া থেকে তুলে ফেলবেন। সব গ্রাম থেকে চোরেদের তাড়াতে হবে। চোরেদের তাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রবাদী ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে। যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে, হেমন্ত বিশ্বশর্মা অসমে যেমন দেশবিরোধী, মানুষের উপর অত্যাচারকারী, মহিলা নির্যাতনকারী শক্তিকে সাফ করছেন, আমরাও পশ্চিমবঙ্গকে সাফ করব।”
দলনেতার এই মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এদিন কর্মী সম্মেলনে হুঁশিয়ারি ছাড়াও শাসকদলের নতুন ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ নামক নয়া কর্মসূচি ও ‘দিদির দূত’ অ্যাপের প্রসঙ্গ তুলে ব্যাপক কটাক্ষ করেন তিঁনি। এমনকি ‘দিদির দূত’ অ্যাপকে ‘দিদির ভূত’ বলেও আখ্যা দেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।