বাবা ও ভাইদের জন্য চা বানায় বোন, পাতার বদলে দিয়ে দেয় ইঁদুরের বিষ! তারপর…

বাংলাহান্ট ডেস্ক: অনেকেই আছেন যাঁরা রান্নার খুঁটিনাটি জানেন না। কোন জিনিসকে কী বলে, কতটা পরিমাণে কী দিতে হয়, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। তবে উত্তরপ্রদেশের চন্ডৌলি জেলায় যা ঘটল, তা এক কথায় ভয়াবহ। রান্না ঘরে চা বানাতে গিয়ে বিপত্তি ঘটিয়ে ফেললেন এক যুবতী। যার ফলে গোটা পরিবারের প্রাণ সংশয় হয়ে রয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের চন্ডৌলি জেলার কাশী রাম কলোনিতে পরিবারকে নিয়ে থাকেন ৩৮ বছরের রাজধানী। তাঁর এক মেয়ে ও ১৮ ও ১২ বছর বয়সি দুই ছেলে রয়েছে। ঘটনার দিন রাজধানীর মেয়ে সবার জন্য চা বানাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই বাড়িতে লোডশেডিং হয়ে যায়।

tea

কিন্তু অন্ধকারেই চা বানাতে থাকেন রাজধানীর মেয়ে। এই সময়েই ভুলবশত চায়ে চা পাতার জায়গায় ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে দেন তিনি। তবে পুরোটাই অজ্ঞানতাবশত। চায়ের রঙেও কোনও বদল লক্ষ্য করেননি তিনি। তাই বুঝতেও পারেননি যে তিনি যেটি বানিয়েছেন, সেটি আসলে বিষ। 

রাজধানী ও তাঁর দুই ছেলে সেই চা পান করেন। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরেই ঘটে বিপত্তি। ওই তিন জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বমি করতে শুরু করেন তাঁরা। এই অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে চেঁচামেচি শুরু করেন রাজধানীর মেয়ে। মেয়ের চিৎকার শুনে তাঁদের বাড়িতে জড়ো হন প্রতিবেশীরা।

rat poison tea

ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁরা দেখেন, যন্ত্রণায় ছটফট করছেন রাজধানী ও তাঁর ছেলে গণেশ ও দীনেশ। পাশাপাশি, বমিও করছেন তাঁরা। এই দৃশ্য দেখে অসুস্থদের তড়িঘড়ি কাছের পণ্ডিত কমলাপতি ত্রিপাঠী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় চিকিৎসা।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখন ওই তিন জন বিপন্মুক্ত। শরীর থেকে বিষ বের করে নেওয়া হয়েছে। এখন তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এই ঘটনার পর বেশ কিছু ছবি সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, যে ইঁদুর মারার বিষের প্যাকেট ব্যবহৃত হয়েছিল সেটির ছবি। ওই প্যাকেটটি অবিকল চা পাতার প্যাকেটের মতো দেখতে। তাই অন্ধকারে ভুল হওয়া স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। 

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর