বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ব্যাকরণ মানছেন না, নিজের অত্যাশ্চর্য ব্যাটিং শৈলী দিয়ে দর্শকদের মোহিত করছেন এবং বিপক্ষ বোলারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছেন সূর্যকুমার যাদব। গতবছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন এই মুম্বাইকর। গতবছর যেখানে শেষ করেছিলেন, এই বছর যেন ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেছেন ভারতীয় তারকা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে অর্ধশতরান এবং তৃতীয় ম্যাচে শতরান করে ভারতকে সিরিজ জিততে সাহায্য করেছেন স্কাই।
এবার তার ব্যাটিং নিয়ে একটি মজাদার মন্তব্য করেছেন ভারতীয় দলের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়। নিজের ক্রিকেটার জীবনে দ্রাবিড় পরিচিত ছিলেন নিজের কপিবুক খেলার জন্য। তার ব্যাটিং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে শিক্ষণীয় বলে ঘোষণা করেছিলেন একাধিক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। দ্রাবিড় নিজেও বরাবর ক্রিকেটের বেসিক্স রপ্ত করার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকেন তার শিষ্যদের।
কিন্তু তার দলের সূর্যকুমার যাদব তার সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান করেন। যে ভঙ্গিতে গতকাল শ্রীলঙ্কার বোলারদের বিরুদ্ধে সংহারমূর্তি ধারণ করেছিলেন তিনি, তা কোনওভাবেই ক্রিকেটের ব্যাকরণের পরিপন্থী নয়। কিন্তু ওই পদ্ধতি অবলম্বন করেই ধারাবাহিক সাফল্য পেয়ে যাচ্ছেন স্কাই। তাই দ্রাবিড় কাল ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে মজা করে হাসিমুখে বলেছিলেন, “এই নিয়ে আমি নিশ্চিত যে যখন সূর্যকুমার যাদব ছোট ছিলো, তখন ও আমাকে ব্যাটিং করতে দেখেনি।”
স্কাইয়ের ব্যাটিং দেখে ভারতীয় লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল জানিয়েছেন যে তিনিও একজন বোলার হিসাবে সূর্যকুমারের এমন বিধ্বংসী রূপ দেখে কিছুটা অস্বস্তিতে ভোগেন। তারপর তিনি বলেছেন, “আমি খুব খুশি এইজন্য যে আমি আর সূর্যকুমার যাদব একই দলে খেলি। আমি এই দুর্ভোগ এড়াতে পেরেছি।” চাহালের সঙ্গে সহমত হয়েছেন হার্দিক পন্ডিয়াও। তিনিও বলেছেন, “আমি যদি বিপক্ষের বোলার হতাম, তাহলে ওর ব্যাটিং দেখে আমারও মন ভেঙে যেত।” এই বক্তব্যগুলি থেকেই পরিস্কার যে একজন ব্যাটার হিসাবে ঠিক কতটা প্রভাবশালী সূর্যকুমার।
তবে গতকাল সূর্যকুমার আগ্রাসী ব্যাটিং করে শতরান করলেও ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম শতরানের রেকর্ডটি এখনো রোহিত শর্মার দখলেই রয়েছে। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাত্র ৩৫ বলে শতরান করেছিলেন রোহিত। তবে ভারতীয়দের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে লোকেশ রাহুলের শতরান সংখ্যাকে (২) টপকে গেলেন সূর্যকুমার। তার বর্তমান ধারাবাহিকতা আর দু’বছর বজায় রাখতে পারলে ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেটে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি শতরানের রেকর্ডটিও নিজের নামে করে নেবেন স্কাই।