বাংলা হান্ট ডেস্ক: আর মাত্র ১৭ দিন পরেই পেশ করা হবে কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget)। আগামী মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) পরবর্তী অর্থবর্ষের জন্য সাধারণ বাজেট পেশ করবেন। এই বাজেটে একাধিক বিষয়ে পরিবর্তন আনা হবে। এমনকি, কিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর পাশাপাশি কিছু কিছু পণ্যের উপর আবার তা কমানোও হবে। এমতাবস্থায়, কোনো কোনো গণমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে যে, এবার প্রায় ৩৫ টি জিনিসের আমদানিতে কর বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
লক্ষ্য উৎপাদন বৃদ্ধি: মূলত, যেসব জিনিসের ওপর কর বাড়ানো হচ্ছে সেগুলির মধ্যে সামিল রয়েছে ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য, প্লাস্টিকজাত দ্রব্য, গয়না, হাই গ্লস পেপার, ভিটামিন, হেলিকপ্টার এবং প্রাইভেট জেট। প্রকৃতপক্ষে, সরকারের লক্ষ্য আমদানি কমিয়ে এই জিনিসগুলির জন্য দেশে আরও বেশি করে উৎপাদনের ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা। এমতাবস্থায়, আমদানি শুল্ক বাড়ানো হলে ওই জিনিসগুলির আমদানি কমানো হবে এবং সরকারের “আত্মনির্ভর ভারত মিশন”-ও শক্তিশালী হবে।
২০২২ সালে একাধিক জিনিসের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এর আগে ২০২২ সালের বাজেটে একাধিক জিনিসের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা করা হয়েছিল। সূত্র অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক বিভিন্ন মন্ত্রকের কাছ থেকে আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে কোন কোন পণ্যের আমদানি কমানো যায় তার তালিকা চেয়েছিল। উল্লেখ্য যে, সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে হিসাবের ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৪ শতাংশে। যেটি নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আর্থিক মন্দা ভারতকেও প্রভাবিত করতে পারে: এমতাবস্থায় সরকার আশা করছে যে, আমদানি শুল্ক বাড়ানো হলে চলতি হিসাবের ঘাটতি কমাতে সাহায্য করবে। যা আগামী দিনে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। প্রকৃতপক্ষে, আইএমএফ ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে যে, বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশ এই বছর মন্দার কবলে পড়তে পারে। পাশাপাশি, আইএমএফের তরফে এও বলা হয়েছিল, এই মন্দা ভারতকেও প্রভাবিত করতে পারে।