বাংলাহান্ট ডেস্ক : এই বছরের শুরু থেকেই যাত্রা শুরু হয় রাজ্যের প্রথম সেমি হাইস্পিড ট্রেন (Semi High speed train), বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। কিন্তু তা স্বস্তিতে চলতে পারছে কোথায়? মাঝে মধ্যেই ট্রেনটিকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হচ্ছে। একই মাসের মধ্যে চার বার আক্রান্ত হলো আমাদের রাজ্যের প্রথম সেমি হাইস্পিড ট্রেন, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এবার বন্দে ভারতের উপর ‘পাথর হামলা’র (Stone Thrown) ঘটনায় কে বা কারা রয়েছে জানা না গেলেও এই আক্রমণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে C-6 কামরা এবং ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্কিত যাত্রীগন (Passengers)।
প্রথম হামলা করা হয় মালদা জেলায় ঢোকার মুখে কুমারগঞ্জ নামক একটি অঞ্চলে, তারপরের দিন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। এরপর ট্রেনটিকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বিহারের বারসোই স্টেশন ছাড়ার পরই এবং তারপর ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে গত ৯ই জানুয়ারি প্রায় সকাল ৬:৪০ নাগাদ ট্রেনটি যখন হুগলীর চন্দনপুর স্টেশন পার করে বর্ধমান স্টেশনে ঢুকছিল, তখন আবার হামলা করা হয়। একের পর এক আক্রমণের পর ফের ২০শে জানুয়ারি, শুক্রবার অর্থাৎ ১১ দিন পরে আবার আক্রমণ করা হলো বন্দে ভারত ট্রেনটিকে।
ট্রেনটি ছিল নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া ডাউন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এদিন ট্রেনটি পেল্টা ও ডালখোলা স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে পার হচ্ছিলো তখন সেটিকে লক্ষ্য করে আবার পাথর ছুঁড়ে মারা হয়, এর ফলে ট্রেনটির C-6 কামরাটি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ট্রেনের C-6 কোচের ৭০ এবং ৭২ নম্বর সিটের কাছে জানলার কাচে বিশাল ফাটল ধরেছে। ট্রেনের যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার করতে শুরু করে দেন।
সূত্রের খবর এদিন, বিকাল ৫টা ৫৫ নাগাদ মালদা টাউনে ঢোকে ডাউন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কিন্তু, সেখানে ঢুকতেই আরপিএফের নজরে আসে। এ দৃশ্য দেখে কী ঘটছে তা অনুমান করতে অসুবিধা হয়নি রেল পুলিশের। রেলের পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে যে, ট্রেনটি যখন বিহারের এলাকা পার হচ্ছিলো, তখন পাথর ছোড়া হয়েছে। যার কারণে যাত্রীরা সকলে খুব ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে, ফের হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠছে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়েও।