‘মামলা থেকে বাঁচতে DA ঘোষণা, মদ আর লটারি ছাড়া রাজ্যে কিছু নেই।’ কটাক্ষ শুভেন্দুর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট (Budget) পেশ করল রাজ্য সরকার (State Government)। বাজেটে একাধিক উন্নয়নের কথা ঘোষণা করার পাশাপাশি রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্তদের জন্য আরও ৩ শতাংশ মহার্ঘভাতা (DA) ঘোষণা করে মমতা সরকার। আর এই ডিএ নিয়েই সরব সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে বিরোধী শিবির। রাজ্য বাজেটকে ‘ভোটমুখী বাজেট’ বলেও কটাক্ষ করেন তারা।

এদিন বাজেট প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে জোর আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বলেন, ‘‘১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা উঠবে। সেই মামলা থেকে বাঁচতে তিন শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়েছে।’’ শুভেন্দুর সংযোজন, ‘‘এই বাজেটে পশ্চিমবঙ্গের জ্বলন্ত সমস্যগুলি সমাধানের কোনও চেষ্টা নেই। মানুষের আকাঙ্ক্ষার কোনোরূপ প্রতিফলন নেই।’’

   

এখানেই শেষ নয়, এরপর বিধায়কদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলে বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়েও রাজ্যকে একহাত নেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, ‘‘আসলে বিধায়কদের উপরে মানুষের চাপ তৈরি করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত দু’টি অর্থবর্ষে বিধায়কদের পাওয়ার কথা ছিল ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। কিন্তু কাজ হয়েছে মাত্র ৩০ লক্ষের।’’

suvendu adhikari .

শুধু বিজেপিই নয়, রাজ্যের পেশ করা বাজেটের সমালোচনায় সরব হয়েছে সিপিএমও। শুধুমাত্র ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই বাজেট তৈরী করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যে কায়দায় বাজেট করেছে সেই জুতোয় পা গলিয়েছে রাজ্য সরকার। এই বাজেট শেষে আমাদের ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ লক্ষ ৪৭ হাজার কোটি টাকা। এটি হাস্যকর ভোটমুখী বাজেট। বাস্তবের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তথ্য ঠিক নেই।”

অন্যদিকে, বিরোধীদের অভিযোগ একেবারেই মানতে নারাজ শাসকদল। এবিষয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতাই এই বাজেটে প্রতিফলিত। বিরোধীরা দেখবেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তগুলিই বছর শেষে কেন্দ্রীয় পুরস্কার ও স্বীকৃতি পাবে।’’ প্রসঙ্গত,গতকাল বিধানসভায় বাজেট বক্তৃতা শেষে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, এই বাজেট কর্মসংস্থানমুখী বাজেট। পাশাপাশি মমতা জানান, আর্থিকভাবে সীমিত ক্ষমতার মধ্যেই সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবে যথার্থ চেষ্টা করেছে সরকার। তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথাও।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর