শহরজুড়ে বৌমার উত্তেজক ছবির পোস্টার, শাশুড়ির চোখে ধুলো দিতে কী কাণ্ড করেছিলেন শর্মিলা!

বাংলাহান্ট ডেস্ক: নায়িকারা নাকি বিয়ের পর আর কাজ করতে পারে না। শ্বশুরবাড়ির চাপে, সংসার সামলে উধাও হয় গ্ল্যামার। উপরন্তু বাড়ির বউ সবার সামনে অভিনয়, নাচাগানা করবে তা আগে অনেক পরিবারেই আপত্তির দৃষ্টিতে দেখা হত। কিন্তু ওই সময়ে দাঁড়িয়ে বলিউডে (Bollywood) একজন ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)। নরম সরম বাঙালি কন্যের চিরাচরিত ধারণা বদলে সমাজের চাপিয়ে দেওয়া একের পর এক নিয়মের বেড়ি ভেঙেছিলেন তিনি।

তরুণী বয়সে কিংবদন্তি সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে হাতেখড়ি। বাংলা সিনেমায় নিজের ছাপ ফেলার পর বলিউডে পা রাখেন শর্মিলা। সেখানে আরো পরিণত রূপ প্রকাশ পায় তাঁর। যে সময়ে পর্দায় সাহসী দৃশ্যের কথা ভাবাও যেত না, বা ভাবলেও কোনো অভিনেত্রী রাজি হতেন না, সে সময়ে শাড়ির বদলে সুইমস্যুট পরে সামনে এসেছিলেন শর্মিলা। নতুন ট্রেন্ড শুরু করেছিলেন তিনি বলিউডে।

ব্যক্তিগত জীবনেও ভেঙেছেন ট্যাবু। ভিন ধর্মে বিয়ে করেও অভিনয় চালিয়ে গিয়েছেন পতৌদি পরিবারের বেগম। শুধু তাই নয়, বিয়ের পরেও রীতিমতো সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করেছেন তিনি, পরেছেন বোল্ড পোশাক। শর্মিলার সাহসী অবতার, তাঁর ফ্যাশন সেন্সের ভক্ত ছিলেন অনেকেই। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে সবকিছু সামলাতেন কীভাবে তিনি?

এক সাক্ষাৎকারে শর্মিলা বলেন, পোশাক নিয়ে তাঁর কোনোদিনই ছুঁতমার্গ ছিল না। নিজের যেটা পছন্দ হত সেটাই পরতেন তিনি। তবে বৌমার বোল্ড লুক দেখে শাশুড়ি মা কেমন প্রতিক্রিয়া দেবেন তা নিয়ে বেশ চিন্তাতেই ছিলেন তিনি। শাশুড়ির থেকে লোকানোর জন্য অদ্ভূত সব কাণ্ডকারখানাও করেছিলেন শর্মিলা।

প্রবীণ অভিনেত্রী জানান, ‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস’ ছবির একটি পোস্টার ছিল, যেখানে তিনি শাম্মি কাপুরের পেছনে লুকিয়ে ছিলেন। শুধু তাঁর পা দেখা যাচ্ছিল। বাকি শরীরটা ছিল আড়ালে। ছবিটা এমন ভাবে তোলা হয়েছিল যাতে বোঝা না যায় যে আদৌ শর্মিলার পরনে কোনো পোশাক আছে নাকি নেই।

এই পোস্টারটি নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন শর্মিলা। সেদিন শাশুড়ি মায়ের তাঁর কাছে আসার কথা ছিল। এমন পোস্টার দেখলে তিনি কী বলবেন না বলবেন তা নিয়ে বেশ ভয়ে ছিলেন অভিনেত্রী। শেষে মাঝরাতে নিজের গাড়ির চালককে পাঠিয়েছিলেন তিনি পোস্টার সরিয়ে ফেলার জন্য। অন্য সবার সমালোচনায় কর্ণপাত না করলেও নিজের শাশুড়িকে বেশ ভয়ই পেতেন শর্মিলা।