বাংলাহান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি ভারত সফরে এসেছিলেন মাইক্রোসফটের (Microsoft) সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ধনকুবের বিল গেটস (Bill Gates)। ভারতে এসে তিনি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস, স্মৃতি ইরানি, রতন টাটা-সহ একাধিক মানুষের সঙ্গে। একইসঙ্গে তিনি এমন এক কাজ করলেন যা ভারতীয়দের খুবই অবাক করেছে। পুরোদস্তুর স্যুট-টাই পরে মাহিন্দ্রার ইলেকট্রিক অটো ‘ট্রেও’ (Mahindra Treo) চালিয়ে ঘুরে বেড়ালেন তিনি।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। মাহিন্দ্রার এই ইলেকট্রিক অটো চালিয়ে বেশ প্রশংসাই করেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে অটো চালানোর একটি ভিডিও আপলোড করেছেন বিল। সেখানে লিখেছেন, ‘কোন জিনিসের ৩টি চাকা, শূন্য নির্গমন এবং শূন্য আওয়াজ আছে? সেটি হল মাহিন্দ্রা ট্রেও।’ তারপরেই তাঁকে মাহিন্দ্রার এই ইলেকট্রিক অটো চালাতে দেখা যায়।
(please embed instagram link)
ভিডিওতে কিশোর কুমারের ‘চলতি কা নাম গাড়ি’ ছবি থেকে ‘বাবু সামঝো ইশারে’ গানটি ব্যবহার করা হয়েছে। এই গাড়িটির কয়েকটি ফিচারের কথাও শেয়ার করেছেন বিল গেটস। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমাদের সব কিছুই নতুনভাবে ভাবতে হবে। কৃষি থেকে পরিবহণ; সব ক্ষেত্রেই কার্বন-শূ্ন্য নির্গমনের কথা ভাবতে হবে।” ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, “ভারতের উদ্ভাবনের ক্ষমতা আমায় বরাবর অবাক করেছে।”
“Chalti ka Naam Bill Gates ki Gaadi” So glad you found the time to check out the Treo @BillGates Now on your next trip’s agenda should be a 3-wheeler EV drag race between you, @sachin_rt and me… pic.twitter.com/v0jNikYyQg
— anand mahindra (@anandmahindra) March 6, 2023
তিনি আরও লেখেন, “আমি একটি ইলেকট্রিক রিকশা চালালাম। এটি ১৩১ কিলোমিটার অবধি চলতে সক্ষম এবং ৪ জনকে নিতে পারে। পরিবহণ শিল্পে মাহিন্দ্রার মতো সংস্থার এই চেষ্টা সত্যিই উদ্দীপক।” ইতিমধ্যেই ভিডিওটি ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখেছেন। তাঁর পোস্টটি টুইটারে শেয়ার করেছেন আনন্দ মাহিন্দ্রা (Anand Mahindra)। তিনি লিখেছেন, “আমি খুব খুশি হয়েছি যে তুমি আমাদের ট্রেও চালিয়ে দেখার সময় পেয়েছো। পরের বার ভারত এলে সচিন তেন্ডুলকর, তুমি ও আমি মিলে তিন চাকার ইলেকট্রি গাড়িতে রেস করব।”
View this post on Instagram
আনন্দ মাহিন্দ্রার এই বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। প্রসঙ্গত, বিল গেটস ও আনন্দ মাহিন্দ্রা এক সময় সহপাঠী ছিলেন। আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁরা একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। ১৯৭৭ সালে হার্ভার্ড থেকে স্নাতক পাশ করেছিলেন আনন্দ। এরপর ১৯৮১ সালে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। অন্যদিকে, বিল গেটস ১৯৭৫ সালে হার্ভার্ড ছেড়ে মাইক্রোসফট শুরু করেছিলেন।