বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে সমগ্ৰ দেশজুড়েই দ্রুতগতির রাস্তার নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে। মূলত, ভারতমালা প্রকল্পের অধীনে ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক বড় শহর এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে। এমতাবস্থায়, জানা গিয়েছে, এবার আরেকটি নতুন এক্সপ্রেসওয়ে পেতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। শুধু তাই নয়, এই এক্সপ্রেসওয়ে সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যও সামনে এসেছে।
জানা গিয়েছে, ২৮,৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই এক্সপ্রেসওয়েটি তৈরি করা হবে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এটি বিহার ও ঝাড়খণ্ড হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে। পাশাপাশি, এটির সর্বমোট দৈর্ঘ্য হবে ৫৯৩ কিলোমিটার। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ভারতমালা প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৩ টি অতিরিক্ত এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা হবে। যার মধ্যে একটি হল বারাণসী-রাঁচি-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে। এর পাশাপাশি ৩৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ বেঙ্গালুরু-কাদাপা-বিজয়ওয়াড়া এক্সপ্রেসওয়ে এবং অটল প্রগ্রেসওয়ে তৈরি করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বারাণসী-রাঁচি-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির পর কলকাতা থেকে বারাণসী পর্যন্ত যাত্রা ৭ ঘণ্টারও কম সময়ে সম্পন্ন হবে। শুধু তাই নয়, এই এক্সপ্রেসওয়েতে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানো যাবে। এমতাবস্থায়, এই এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো চালক যদি একটানা গাড়ি চালিয়ে যান সেক্ষেত্রে ৬ ঘণ্টার মধ্যেই এই এক্সপ্রেসওয়ের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে যেতে পারবেন তিনি।
এদিকে, বর্তমানে সড়কপথে বারাণসী থেকে কলকাতায় পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় ১৪ ঘন্টা। অপরদিকে, আমরা যদি রেলপথে এই সফরের দিকে নজর দিই সেক্ষেত্রেও ট্রেন মারফত বারাণসী থেকে কলকাতা পৌঁছতে অন্তত ৮-৯ ঘণ্টা সময় লেগেই যায়। তবে, এবার এই সময়টাই অনেকটাই কমে আসবে। মূলত, এই এক্সপ্রেসওয়ের প্রস্থ হবে প্রায় ১০০ মিটার। পাশাপাশি, এটি একটি ৮-লেনের এক্সপ্রেসওয়ে হবে। অর্থাৎ, সেখানে সাধারণ গাড়িগুলির পাশাপাশি পণ্য পরিবহণের জন্য ভারী যানবাহনগুলির চলাচলের ক্ষেত্রেও সুবিধা মিলবে।
সর্বোপরি, নতুন এই এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা দর্শনার্থীদের বারাণসীতে মন্দির দর্শনের ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে। যার ফলে একইসাথে উপকৃত হবেন উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। উল্লেখ্য যে, বারাণসী-কলকাতা গ্রিনফিল্ড এক্সপ্রেসওয়েটি বিহারের রোহতাস, কাইমুর, গয়া এবং ঔরঙ্গাবাদ হয়ে ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করার পরে রাঁচির কাছে চাতরা, হাজারিবাগ, রামগড় এবং বোকারো হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে।