ইস্কুলে শিক্ষক নেই, যাঁর ইশারায় এসব হল তিনিই আজ ধর্নামঞ্চে! মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ রুদ্রনীলের

বাংলাহান্ট ডেস্ক: টাকা পাঠায় না কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের ভাঁড়ার ক্রমে শূন্য হচ্ছে। দিল্লির উদ্দেশে প্রায়ই এমন অভিযোগ শানাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। পালটা বিরোধী পক্ষ অভিযোগ করে, কেন্দ্রের তরফে বিভিন্ন প্রকল্পের খাতে আসা টাকা আত্মসাৎ করে তৃণমূল। এবার আর মুখে বলে নয়, সরাসরি ধর্নায় বসে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে পালটা তৃণমূল সুপ্রিমোকে কটাক্ষের বাণ ছুড়লেন বিজেপির তারকা সদস্য রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।

রাজ্যের শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুর চড়াতে প্যারোডিকে অস্ত্র বানিয়েছেন রুদ্রনীল। এবারেও ব্যঙ্গের হাসি ঠোঁটে ঝুলিয়ে স্বরচিত ছড়া আওড়ালেন তিনি। ‘শিক্ষক নেই ইস্কুলেতে, ছাত্র কমেছে বেঞ্চে, যাঁর ইশারায় এসব হল তিনিই ধর্নামঞ্চে।’ রুদ্রনীলের ক্ষোভ, যোগ্য যুবক যুবতীরা চাকরির আশায় দিনের পর দিন ধরে ধর্না দিচ্ছেন। সেদিকে কোনো হেলদোল নেই। মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত কেন্দ্রের বিরোধিতা করতে।

rudranil ghosh parody

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করে বাংলাহান্টের কাছে রুদ্রনীলের বক্তব্য, কেন্দ্র থেকে সরকারি খাতে যে অর্থ পাঠানো হয় তার সিংহভাগটা যায় চোরদের পকেটে। স্কুলে মিড ডে মিলের অতটুকু টাকা, সেটাও ছাড়ে না তারা। আমফানের সময় থেকে চুরির সূত্রপাত। অথচ মুখ্যমন্ত্রী কাউকে ধরে জেলে ভরেননি, ক্ষোভ রুদ্রনীলের।

বিজেপির তরফে বারবার বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিসাব দিচ্ছেন না। একই অভিযোগ শোনা গেল রুদ্রনীলের মুখেও। একে তো হিসেব মিলছে না, তার উপর মানুষের হকের টাকা চুরি করছে চোরেরা। উপরন্তু তিনি আরো বলেন, ৭০ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড ধরা পড়েছে। সেইসব ভুয়ো কার্ড ধরে ধরে বাতিল করেছে কেন্দ্র সরকার। অথচ এই চোর ধরার কাজটা রাজ্য সরকারের, কিন্তু তারা উলটে চোরদের আড়াল করছে বলে অভিযোগ করেন রুদ্রনীল।

অথচ এক সময়ে তো এই দলেরই সদস্য ছিলেন রুদ্রনীল? তাঁর উত্তর, তৃণমূল যখন ছোট ছিল, কচি ছিল তখন নিষ্পাপ ছিল। সিপিএমের লুঠতরাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এক গরীব ঘরের মেয়েকে ভরসা করেছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু তারা যখন তাঁকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনল তখন দেখা গেল সাধারণ মানুষকেই তারা লুটছেন।

Rudranil video

এই ঘটনাগুলো চোখের সামনে ঘটতে দেখে দলের থেকে নিজেকে আলাদা করে নিয়েছিলেন রুদ্রনীল। ২০১৭-১৮ সালেই তৃণমূলের থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। যেখানেই বেনিয়ম দেখেছেন সুর চড়িয়েছেন। সেই সব প্রমাণ রয়েছে ইউটিউবে, বক্তব্য রুদ্রনীলের। এখনো অনেকেই বেরিয়ে আসছেন। কিন্তু যারা অনেক নিয়ে ফেলেছেন তারা বেরোতে পারছেন না।

এখানেই না থেমে রুদ্রনীল কটাক্ষ করেন, যখন দলে থেকে দুর্নীতি করছে তখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন দলের সম্পদ। আর যেই ধরা পড়ছে অমনি বলছে দলের বিপদ। রুদ্রনীল বলেন, মাননীয়া বলেছিলেন ডবল ডবল চাকরি হবে। কিন্তু সেটা শিক্ষিতদের নয়, সিভিক ভলান্টিয়ারদের। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেউটের খোঁজ করতে গিয়ে একের পর এক কেঁচো বেরোচ্ছে। কেউটের খোঁজ কবে মিলবে? রুদ্রনীলের উত্তর, যেদিন কেঁচোরা নির্ভয়ে মুখ খুলবে।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর