বাংলা হান্ট ডেস্ক : রামনবমীর পর থেকে উত্তপ হাওড়ার শিবপুর। বৃহস্পতিবার দোকানে ভাঙচুর, বাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, গাড়িতে আগুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সেখানেই শেষ হয়নি। ঘটনার রেশ গড়ায় শুক্রবারও। পুলিসকে ছোঁড়া হয় ইট-পাথর, পাল্টা লাঠিচার্জের ঘটনায় দুদিনে গ্রেফতার হয় ৪৬ জন। এবার শুধু বাংলা নয়, রামনবমীকে ঘিরে বিহার ও ঝাড়খণ্ডেও থমথমে পরিস্থিতি।
বাংলা ও বিহারের পর রাম নবমীর মিছিল ঘিরে হিংসার আগুন জ্বলল ঝাড়খণ্ডেও। শুক্রবার জামশেদপুরে রাম নবমীর মিছিলে পাথর ছোড়া হয় হয় বলে অভিযোগ পুলিসের গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। এই ঘটনাার পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত। বিক্ষিপ্ত ভাবে চলছে অশান্তি। চরম আশঙ্কায় এলাকার মানুষ।
রাম নবমী উপলক্ষে জামশেদপুরে ধর্মীয় সংঘর্ষের ইতিহাস থাকায় কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় আগে থেকেই। পুলিস সুপার কে বিজয় শাকারের (Superintendent of Police (City) K Vijay Shakar) নেতৃত্বে, জেলা পুলিশ বাহিনী দুটি বাাহিনীতে ভাগ হয়ে মিছিল করে। সাকচির কম্পোজিট কন্ট্রোল রুম থেকে বের হয়ে পুলিস গোলমুড়ি, যুগসলাই, সাকচি ইত্যাদি সহ শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে টহল দেয়।
৩১ মার্চ রাতে জামশেদপুরের জুগসালাই এলাকায় রাম নবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান। এর পর পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। মিছিল থামিয়ে ক্ষুব্ধ জনতা বাটা চকে হনুমান চালিসা পাঠ শুরু করে এবং রেলগেটের উপরে রেল ব্রিজ অবরোধ করে। এ সময় উভয় পক্ষ থেকে তুমুল স্লোগান দেয়া হয়। এই স্লোগান পাল্টা স্লোগান ঘিরেই বড়রকমের অশান্তি বাাঁধে।
ভাঙচুর করা হয় রাস্তার পাশের দোকানে । বহুতল লক্ষ্য করে করা হয় ইটবৃষ্টি ! বৃহস্পতিবার, রামনবমীতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়ার শিবপুর। সংঘর্ষ, ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন, বাদ যায়নি কিছুই। সকাল থেকেই তাঁরা টহল দেয় এলাকায়। পরিস্থিতি কিছুটা ছন্দে ফিরছিল। খুলেছিল দোকান-পাট। শুরু হয়েছিল যান-চলাচলও। কিন্তু, দুপুরের দিকে ফের উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। একের পর এক দোকানে ভাঙচুর করা হয়। বাড়ি লক্ষ করে করা হয় ইটবৃষ্টি! বেশ কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শিবপুরের বিভিন্ন জায়গায় জিটি রোড অবরোধ করা হয়।