বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে জাল নোট (Fake Currency) সর্বত্রই একটি বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি, মাঝেমধ্যেই বিপুল অঙ্কের জাল নোট সমেত ধরা পড়েন দোষীরা। যদিও, তাও কমছে না জাল নোটের বাড়বাড়ন্ত। এদিকে, আসল নোটের সাথে অনেকটাই সাদৃশ্য থাকায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের হাতেও এসে উপস্থিত হয় জাল নোট। এমতাবস্থায়, ওই জাল নোট বাজারে চালানোর চেষ্টা করলে আবার সমস্যায় পড়তে পারেন। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে উপস্থাপিত করব যে জাল নোট হাতে এলে ঠিক কি কি করা উচিত।
লেনদেন করবেন না: আপনি যদি কখনও কোনো জাল নোট পেয়ে থাকেন, তাহলে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। এমনকি, সেটিকে কাজে লাগিয়ে কোনো কিছু কেনা থেকেও বিরত থাকুন। নাহলে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন।
জাল নোটের বিষয়টি জানান: জাল নোট প্রাপ্তির বিষয়টি নির্দিষ্ট আইনি সংস্থাকে অবহিত করুন। নোটের সিরিয়াল নম্বর, অ্যামাউন্ট এবং যে ব্যক্তির কাছ থেকে আপনি সেটি পেয়েছেন তা বিস্তারিত ভাবে জানান।
ফেরত পাবেন না টাকা: আপনি যদি কখনও একটি জাল নোট পান, সেক্ষেত্রে জাল নোটটি আপনার কাছ থেকে নেওয়ার পরে সরকারি সংস্থাগুলি আর সেটি আপনাকে ফেরত দেবে না।
জাল নোটের লেনদেনের ক্ষেত্রে মিলবে শাস্তি: আপনি যদি জাল নোটের মাধ্যমে লেনদেন করতে গিয়ে ধরতে পড়েন সেক্ষেত্রে আইপিসির ৪৮৯ ধারার অধীনে এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। শুধু তাই নয়, আপনার ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।
ATM থেকে জাল নোট বেরোলে কি করবেন: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, আপনি যদি ATM-এর মাধ্যমে জাল নোট পান সেক্ষেত্রে রিফান্ড পেয়ে যাবেন। এর জন্য জাল নোট বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ATM-এর সিসিটিভি ক্যামেরায় নোটটির সামনে ও পেছনের দিকটি দেখাতে হবে। এরপর সেখানে থাকা গার্ডকে বিষয়টি জানাতে হবে। এছাড়াও, ATM থেকে লেনদেনের রসিদ নিতে ভুলবেন না। এরপরে আপনি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে গিয়ে আপনার নোট পরিবর্তন করতে পারেন।