বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে চুলোচুলিতে জড়ালেন তৃণমূল সাংসদ (TMC MLA) ও বিধায়ক (MP)। সূত্রের খবর, সাংসদ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে সরব বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস। শুধু তাই নয় রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে সাংসদকে কংগ্রেস-সিপিএমের দালালের তকমা দিলেন বিধায়ক।
ঠিক কী অভিযোগ? বুধবার বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস সাংবাদিকদের ডেকে বলেন, “খলিলুর রহমান তৃণমূলকে বেচে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ! ইতিমধ্যেই তিনি সিপিএম-কংগ্রেসের কাছে টেন্ডার নিয়ে নিয়েছেন। জেলা সভাপতিকে আমরা চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি।” তার আরও অভিযোগ সাংসদ খলিলুর তৃণমূলের সদস্য হয়েও গত বিধানসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরীর মাধ্যমে নিজের ভাইকে তিনি কংগ্রেসের নির্বাচনী টিকিট পাইয়ে দিয়েছেন।
বিধায়কের সংযোজন, খলিলুর রহমান পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থীকে সহযোগিতা করেছিলেন। “কংগ্রেস ও সিপিএমের কাছ থেকে একের পর এক টেন্ডার নিয়ে তৃণমূলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন খলিলুর রহমান।” পঞ্চায়েত, বিধানসভার পর সম্প্রতি হওয়ার সাগরদিঘির উপ-নির্বাচনে হারের জন্যও খলিলুর রহমানকে দায়ী করেছেন বিধায়ক।
অন্যদিকে, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান। সাগরদিঘি উপনির্বাচন প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, “সাগরদিঘি উপনির্বাচনের দায়িত্বে রাজ্য নেতৃত্ব ১১টি অঞ্চলকে পর্যবেক্ষক হিসেবে ভাগ করে দিয়েছিল। প্রায় ৭টি অঞ্চলে বিধায়করাই পর্যবেক্ষক ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী সুতির তৃণমূল বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস। ভোট চলাকালীন তিনি যা বলেছিলেন আর ভোটের ফলাফলে কী এসেছে, তা তিনিই জানেন। ”
প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে জোর ধাক্কা খেয়েছে শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়ে সেখানে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। সংখ্যালঘু ভোটাররাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে শাসকদলের থেকে। যা নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। এরই মধ্যে দলের বিধায়ক ও সাংসদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়াল জোড়াফুল শিবিরের।