বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে গতকাল প্রথমবারের জন্য মডেল ও অভিনেত্রী শ্বেতা চক্রবর্তীকে (Sweta Chakraborty) তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ওরফে ইডি (ED)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন শ্বেতা। সেই থেকেই ৫ ঘন্টা ধরে চলে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। ইডি সূত্রে খবর, অয়ন শীল ঘনিষ্ঠ শ্বেতা জেরায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের।
প্রসঙ্গত, চাকরি কেলেঙ্কারি ইস্যুতে বর্তমানে জেলবন্দি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হুগলির প্রোমোটার, ব্যবসায়ী তথা প্রযোজক অয়ন শীল (Ayan Shil)। এই অয়নের সূত্র ধরেই নাম উঠে আসে তার বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর। তদন্তকারী সূত্রে খবর, জেরায় শ্বেতা অন্তত ৮ জন প্রভাবশালীর নাম ফাঁস করেছেন যারা নিয়মিত অয়নের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।
অয়নের সঙ্গে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে ছিল বলে দাবি ইডির। গতকাল জেরায় এমনই ৮ জন প্রভাবশালীর কথা জানিয়েছেন শ্বেতা। জানা গিয়েছে কখনও প্রভাবশালীরাই অয়নের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন, আবার কখনও অয়ন তাদের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন।
শ্বেতা জানান কর্মসূত্রেই অয়নের সঙ্গে তার পরিচয়। বান্ধবী শ্বেতাকে অয়ন টাকা এবং দামি গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। শ্বেতার দাবি, অয়নের প্রোডাকশন হাউসে কাজ করে পারিশ্রমিক হিসাবে সেসব পেয়েছিলেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, শ্বেতার গাড়ি ও কামারহাটির ফ্ল্যাট অ্যাটাচ করা হবে। অন্যদিকে, শ্বেতার বাবা মায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অয়ন নিজের কালো টাকা সাদা করেছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন বান্ধবী। ইডি সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বুধবারই অয়ন শীলের বাবা-মাকে একদফা জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অন্যদিকে, শুক্রবার অয়নের স্ত্রী কাকলি, ছেলে অভিষেক ও সংস্থার ২ কর্মীকে তলব করা হয়েছে। দুর্নীতির বিষয়ে জেরা করতেই তাদের তলব করা হয়েছে। যদিও অয়নের বেআইনি কারবার, লাগামছাড়া দুর্নীতি সম্পর্কে স্ত্রী, পুত্র কিছু জানতেন না বলেই দাবি করেছেন।