ধর্ষিতার দেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার জের, কালিয়াগঞ্জে সাসপেন্ড চার পুলিসকর্তা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : তুলকালাম কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj)। মৃত নাবালিকার দেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার জের। সাসপেন্ড করা হল চার এএসআই পদমর্যাদার পুলিস আধিকারিককে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলবে বলে জানালেন জেলার পুলিস সুপার সানা আখতার।

ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার। কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি (BJP) মহিলা মোর্চার সদস্যরা। সিবিআই তদন্তের দাবি ওঠে। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিও।

সেই ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন পুলিসকর্মী নাবালিকার দেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। তার জেরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ঘটনার পর তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অগ্নিগর্ভ এলাকা। সোমবারও পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়েছেন মৃতার পরিজন ও এবিভিপি সমর্থকরা।

kaliaganj

এদিন বিকেলেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন পুলিস সুপার সানা আখতার। তিনি জানান, দেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ৪ পুলিস কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। পুলিসের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ওঁদের চারজনকে সাসপেন্ড করে কোনও লাভ নেই। কারণ ওঁরা উপর মহলের নির্দেশ পালন করেছেন। তাই কাউকে সাসপেন্ড করার হলে এসপিকে করা প্রয়োজন।’

পুলিসের এই পদক্ষেপে খুশি নয় অন্য বিরোধীরাও। তাদের দাবি, একজনের দেহ পুলিস যে ভাবে মরিয়া হয়ে উদ্ধার করেছে তা নীচু তলার ৪ পুলিসকর্মীর সিদ্ধান্ত হতে পারে না। ওসি বা তার ওপরের পদমর্যাদার আধিকারিকের নির্দেশেই নৃশংসভাবে নাবালিকার দেহ টেনে নিয়ে গিয়েছে পুলিস। আর নবান্নের নির্দেশেই এই কাজ তাঁরা করেছেন। ওপরতলার আধিকারিকদের বাঁচাতে তাই নীচুতলার পুলিসকর্মীদের বলির পাঁঠা করার চেষ্টা চলছে।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর