বাংলাহান্ট ডেস্ক : কালিম্পং বললেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে দার্জিলিংয়ের ছবি। কিন্তু ধীরে ধীরে কালিম্পং এর অন্যান্য ছোট ছোট পাহাড়ি গ্রামগুলিও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আজ এমনই একটি জায়গার সন্ধান দেবো আমরা। আজ আমরা কথা বলব মুনথুম গ্রামকে নিয়ে। তীব্র গরম থেকে বাঁচতে বহু পর্যটক এখন পারি দিচ্ছেন পাহাড়ে। এই গরমে আপনারাও ঘুরে আসতে পারেন উত্তরবঙ্গ থেকে। কম খরচে মুনথুম গ্রাম (Munthum valley) আপনার সেরা চয়েজ হতে পারে।
মুনথুম গ্রাম কালিম্পং শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই গ্রামে বসবাস করে ১০-১২টি পরিবার। শহরের কোলাহল থেকে দূরে এই গ্রাম খুবই পরিষ্কার। এই গ্রামে গেলে আপনারা উপভোগ করতে পারবেন বিশুদ্ধ অক্সিজেন। স্থানীয় ভাষায় ‘মুনথুম’ শব্দের অর্থ ‘চাঁদ কা উজালা’ বা পূর্ণিমা। পূর্ণিমা রাতে এই গ্রামটি হয়ে ওঠে খুবই আকর্ষণীয়। এই গ্রামটি জঙ্গলে ঘেরা। এই গ্রামে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও পাখির কলরব আপনাকে দেবে এক অনির্বচনীয় শান্তি।
রাত কাটানোর জন্য এই গ্রামে রয়েছে হোম স্টে ও কটেজ। এখানে কটেজগুলো তৈরি হয়েছে পাহাড়ের ঢালে। বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি এই কটেজগুলিতে আপনি দু রাত কাটাতেই পারেন। এই গ্রাম থেকে আপনি গোটা কালিম্পং শহর দেখতে পারবেন। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে পানবু ভিউ পয়েন্টে। মুনথুমের খুব কাছেই রয়েছে এই ভিউ পয়েন্ট। এই গ্রাম দিয়ে বয়ে গেছে পালা নদী। চাইলে গোটা একটা বেলা কাটিয়ে দিতে পারেন পালা নদীর ধারে বসে।
এছাড়াও পানবুদারা রয়েছে এই গ্রামের খুব কাছেই। পানবুদারায় রয়েছে সেবকের রেল ব্রিজ আর ঐতিহ্যশালী করোনেশন ব্রিজ। লাভা, লোলেগাঁও বা ডেলো আপনারা ঘুরতে পারবেন এই জায়গায় গেলে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন এবং বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে গাড়ি ভাড়া করে আপনারা সরাসরি পৌঁছাতে পারেন মুনথুম। এই গ্রামের কটেজগুলিতে দৈনিক ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।