মেলেনি সরকারি সাহায্য, অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ২০ হাজার টাকা! দেহ আনতে গিয়েও বিপাকে পরিবার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত শুক্রবার যখন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটলো করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ঠিক তখনই সেই ট্রেনের যাত্রী ছিলেন সাদ্দাম সেখ। কিন্তু, দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু হয় তার। এরপর তার দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য পরিবারের লোকদের অনেক কিছুই বন্ধক রাখতে হয়। শেষমেশ, গলার হার, আংটি বন্ধক রেখে অ্যাম্বুল্যান্সের টাকা মেটাল দুর্ঘটনায় মৃত যাত্রী সাদ্দাম সেখের পরিবার।

ইতিমধ্যেই, কেন্দ্র এবং রাজ্যের তরফে আহতদেরকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কোনরকম টাকা পয়সা ছাড়াই ভারতীয় রেল মৃতদের দেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু আত্মীয়দের কথা শোনা গেল অন্য কথা। স্বজনের দেহ আনার জন্য হতদরিদ্র পরিবারকে খরচ করতে হয়েছে ২০ হাজার টাকা।

রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সাদ্দাম শেখের ঘনিষ্ঠ নজরুল শেখ। ওড়িষ্যা থেকে দেহ আনার সময় তারা কোনরকম সাহায্য পান নি বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। মৃতদেহের স্তূপের মধ্যে স্বজনের দেহ খুঁজে পাওয়ার পর সেটিকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, দুঃখের বিষয় কোন সাহায্য মেলেনি।

শুধু এখানেই শেষ নয়, এমনকি লাশবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স চালকের হাতে পায়ে ধরতে হয়েছিল বলেও নজরুল সেখ উল্লেখ করেন। অবশেষে কুড়ি হাজার টাকার বিনিময়ে দেহ গ্রামে পৌঁছে দিতে রাজি হয় চালক। গ্রামে এসে গয়না বন্ধক রেখে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া চুকিয়েছেন তাঁরা। তবে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।

DeathXbodyXambulance

মৃতের ভাই ফিরোজ শেখ বলেন, “ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ভাইয়ের। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে দেহ নিয়ে এলাম। কুড়ি হাজার টাকা ভাড়া নিয়েছে । প্রশাসনের কাছে বারবার অনুরোধ করেছি। তারা বলেছে তাদের কাছে কোনও ব্যবস্থা নেই। কত মানুষকে অ্যাম্বুলেন্স দেব। আমি দেখলাম, আমার ভাইকে তো আমাকে নিয়ে যেতেই হবে । তাই গয়না, জিনিস বন্ধক দিয়ে টাকা জোগাড় করেছি ।”

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর