অপেক্ষা আর মাত্র কিছুদিনের! পশ্চিমবঙ্গের এই জেলাকে এবার নতুন উপহার দেবে রেল

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের রাজ্য তথা দেশে গণপরিবহণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল রেলপথ (Indian Railways)। প্রতিদিনই লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে চেপে নিশ্চিন্তে পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে। এদিকে ক্রমবর্ধমান যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে রেলের তরফে। পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে রেলপথও। যার ফলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ প্রত্যক্ষভাবে সংযুক্ত হচ্ছেন রেলের সাথে।

এমতাবস্থায়, এবার আমাদের রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দাদের জন্য এটি বড়সড় সুখবর সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পর এবার নশিপুর-আজিমগঞ্জ সাইডে দ্রুত গতিতে চলছে স্লিপার বসানোর কাজ। এমনকি এই কাজ প্রায় শেষের দিকে বলেও জানা গিয়েছে।

শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই নশিপুর রেল ব্রিজ তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, জমি জটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে এই রেল ব্রিজের কাজ থমকে ছিল। যদিও, গতবছরের ডিসেম্বর নাগাদ সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলে ওই রেল ব্রিজটির অসমাপ্ত কাজ শুরু হয়। মূলত, নশিপুর রেল ব্রিজটি চালু হলে দক্ষিণবঙ্গের সাথে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ আরো সহজ হবে। পাশাপাশি সামগ্রিকভাবেই ওই জেলার অর্থনৈতিক মানোন্নয়ন হবে বলেও অনুমান করছেন সকলে।

এমতাবস্থায়, চলতি বছরে নশিপুর রেল ব্রিজের উপর দিয়ে রেলের চাকা গড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে লালু প্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নশিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজটির শিলান্যাস করা হয়। যদিও জমি নিয়ে জটিলতা থাকার কারণে প্রায় এক যুগ ধরে এই সেতু নির্মাণের কাজ রীতিমতো থমকে ছিল।

WhatsApp Image 2023 06 06 at 1.25.30 PM 1

জানিয়ে রাখি যে, বর্তমানে শিয়ালদহ থেকে ভায়া আজিমগঞ্জ হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের দূরত্ব হল ৫৭৪ কিলোমিটার। এদিকে, নশিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজ চালু হয়ে গেলে এই দূরত্ব কমে হবে ৫৫৩ কিলোমিটার। তবে এবার, নশিপুর-আজিমগঞ্জ সাইডে স্লিপার বসানোর কাজ দ্রুত গতিতে চলায় এই পথ দিয়ে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে ফের নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। এমতাবস্থায়, নির্দিষ্ট ভাবে ঠিক কবে থেকে এই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সবাই।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর