বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৪৪৪ রানের লক্ষ্য দাড়া করতে নেমে বেশ কিছুটা বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে ভারতীয় দল। বিতর্কিতভাবে শুভমান গিলকে হারানোর পর রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) এবং চেতেশ্বর পূজারাও (Cheteshwar Pujara) বাজে শট খেলে আউট হয়েছেন। প্রতিবেদনটি লেখার সময় বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এবং অজিঙ্কা রাহানে (Ajinkya Rahane) লড়াই করছেন। কিন্তু বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের (WTC Final) মতো বড় ম্যাচে ৪৪৪ রানের লক্ষ্য এবার একটু বেশি বড় বলে মনে হচ্ছে সকলের।
ভারতীয় দল যে এই জায়গায় লড়াইটা নিয়ে যেতে পেরেছে তার পেছনে একটা বড় কারণ হলো প্রথম ইনিংসে রাহানে এবং শার্দূল ঠাকুরের মধ্যে ১০৯ রানের একটি পার্টনারশিপ। প্রথমদিকে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বেশ কয়েকটি সুযোগ দিলেও শেষ পর্যন্ত ৫১ রানের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন ঠাকুর। ৮৯ রান করে ভারতকে চরম বিপদ থেকে রক্ষা করেছিলেন অজিঙ্কা। রাহানে এবং ঠাকুরের দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রান তুলেছিল ভারত।
অধিনায়ক রোহিত শর্মা আইসিসি টুর্নামেন্টের নক আউট পর্যায়ে খুব একটা সফল নন। কিন্তু নিজের অধিনায়ক করতে তিনি সেই খারাপ রেকর্ড কাটিয়ে উঠবেন এমনটা আশা করেছিলেন অনেকেই। শুরুটা মন্দ করেননি তিনি। কিন্তু তার বরাবরের যে রোগ সেই রোগ এই ইনিংসেও ঠিক হলো না।
আরো একবার সেট হয়েও নিজের উইকেট ছুঁড়ে এলেন ভারতীয় অধিনায়ক। প্রথম ইনিংসে ১৫ রানের ব্যক্তিগত স্কোর করে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩ রানের একটা আগ্রাসী ইনিংস খেলার পর অভিজ্ঞ অজি স্পিনার ন্যাথান লিয়নকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হলেন। গুরুত্বপূর্ণ ও সময়ে আউট হয়ে দলের ওপর চাপ বাড়ালেন।
এই নিয়ে কোন আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে আটটি ইনিংস খেললেন রোহিত। এর মধ্যে ৭ বার তিনি মাঠে নেমেছেন টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে। কিন্তু একবারও তিনি। কিন্তু এই আটটি ইনিংসে একবারও তিনি হাফ সেঞ্চুরির গণ্ডি পেরোতে পারেননি। ভারত যদি জিতেও যায় এই ফাইনাল তাহলেও এই কলঙ্ক বয়ে বেড়াতে হবে রোহিত শর্মাকে। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল ছাড়া আর কোনওবারই তিনি ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলতে পারেননি।