মন্দিরে ঢুকতে বাধা! ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে মতুয়াদের ক্ষোভের মুখে অভিষেক, পোস্টার মমতার বিরুদ্ধেও

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে বেজে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা। বহু প্রতীক্ষার পর গত বৃহস্পতিবার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর বর্তমানে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। কিভাবে পায়ের তলার মাটি আর খানিক শক্ত করা যায় সেই উপায় বের করতেই ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল। ওদিকে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে জেলায় জেলায় ঘুরছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।

শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় পৌঁছন অভিষেক। আর আজ, রবিবার তৃণমূলের যুবরাজ সটান পৌঁছে যান গাইঘাটার ঠাকুরনগরে মতুয়াদের (Matua) পীঠস্থান ঠাকুরবাড়িতে (Thakurnagar)। সেখানে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি বীণাপাণি দেবী অর্থাৎ বড়মার ঘর সহ গোটা মন্দির এলাকা ঘুরে পরিকল্পনা ছিল তার। তবে তার আগেই ঘটল বিপত্তি।

   

নেতার আসার আগেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার লক্ষ্য করা যায় মন্দির চত্বর এলাকায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছিলই। এমনকি মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশের মানুষ এও বলেন অভিষেককে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেবেন না, যতক্ষণ না পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী নিজের কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইবেন।

ঠিক যেমনি কথা তেমনি কাজ! এদিন ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছেই মতুয়াদের প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দির চত্বরেই উঠল চোর চোর স্লোগান। মতুয়াদের বিক্ষোভের মাত্রা এতটাই রয়েছে যে মূল মন্দিরে ঢুকতে না পেরে পাশের মন্দিরেই পুজো সারেন অভিষেক।

অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ঠাকুরবাড়ি চত্বর। পাশাপাশি অভিষেক আসার আগেই শান্তনু ঠাকুর হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, অভিষেক মন্দিরে ঢুকলে তারপর গোবোর দিয়ে শুদ্ধিকরণ করা হবে গোটা মন্দির। এদিন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা মতুয়া মহাসঙ্ঘের নেতা শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) নেতৃত্বে চলে বিক্ষোভ।

হাজার চেষ্টার পরেও ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতেই পারলেন না অভিষেক। মূল মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকায় পাশের মন্দিরেও পুজো সারেন নেতা। তবে তারপরই সোজাসুজি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন শান্তনু ঠাকুরকে। বলেন, “৩ মাস অন্তর ঠাকুরবাড়িতে আসব, দম থাকলে আটকে দেখাক”।

প্রসঙ্গত, মতুয়া গুরু হরিচাঁদ ঠাকুর গুরুচাঁদ ঠাকুরকে মুখ্যমন্ত্রী কুরুচিকার মন্তব্য করে অপমান করেছেন মমতা! ঠিক এই দাবি নিয়েই ধিক্কার জানিয়ে আজ গর্জে ওঠে মতুয়া সমাজ। তাদের দাবি, কিছুমাস আগে মুখ্যমন্ত্রী ঠাকুরকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন তার জন্য এখনও ক্ষমা চাননি। যতক্ষণ ক্ষমা না চাইবেন মতুয়া পাগল গোসাই ভক্তরা আরও নানাভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে যাবে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর