বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। বহু কল্পনা-জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনের (Panchayat Vote) দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। দায়িত্বে রাজ্য পুলিশ। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। তবে এই মনোনয়ন দেওয়া নিয়েই দিক দিক থেকে উঠে আসছে একের পর এক বিশৃঙ্খলার খবর।
এবার মনোনয়ন জমা করা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের (Nisith Pramanik) ওপর মারাত্মক অভিযোগ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর (Udayan Guha)। গতকাল দিনহাটার ২ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক, কোচবিহার উত্তরের বিধায়ক সুকুমার রায় সহ অন্য বিধায়ক ও প্রার্থীরা মিছিল করে বিডিও অফিসে গিয়ে মনোনয়ন জমা করেন।
তবে সেখানেই দেখা যা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে এক পুলিশের বাক্যালাপ। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যেতেই তুঙ্গে তরজা। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ বিজেপি প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছে বলে দাবি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর।
এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বিডিও অফিস সারাদিন বসে থেকে দখল করে তিনি সেখানে মনোনয়ন জমা করেছেন। পুরোপুরি বেআইনি ব্যাপার। বিডিওর উচিৎ ছিল ওনাকে ওখান থেকে বের করে দেওয়া। ভদ্র ভাবে বলতে পারতেন যে আপনি এটা পারেন না। আপনি স্যার অন্য বিডিও অফিসের চত্বরের বাইরে গিয়ে বসুন। আপনি দিনহাটা ব্লক টুর কেউ নন।”
এরপর ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। সেখানে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নিশীথ প্রামানিকের সঙ্গে কথা বলছেন সাহেবগঞ্জ থানার সব ইন্সপেক্টর পরিমল রায়কে। এই নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপ দেগেছেন উদয়ন গুহ। প্রোটোকল ভেঙেছেন সাহেবগঞ্জ থানার SI। দাবি উদয়নের।
সমাজমাধ্যমে উদয়ন লেখেন, “আজ অন্যায় ভাবে কেন্দ্রিয় প্রতিমন্ত্রী বহিরাগতদের নিয়ে সাহেবগঞ্জ বিডিও অফিসে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে যান। তাকে বাধা দেওয়া দুরের কথা সাহেবগঞ্জ থানার আধিকারিক পরিমল রায় মন্ত্রির কানে কানে কথা ও হাসি মস্করা করছেন। নির্বাচন কমিশনের অবিলম্বে এই দালাল পুলিশ কে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে জেলার থেকে বের করে দেওয়া উচিত।” গোটা ঘটনায় এখনও নিশীথবাবুর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানান, “ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা হবে।”