বাংলাহান্ট ডেস্ক: শুক্রবার ছিল বাঙালির প্রিয় মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) জন্মদিন। বলিউড টলিউড কাঁপানো সুপারস্টার ৭০ পেরিয়েও এখনো দিব্যি টেক্কা দিতে পারে তরুণ অভিনেতাদের। নিজের নাচ দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা তৈরি করেছিলেন মিঠুন। বয়স বাড়লেও তাঁর মুভসের দিওয়ানা সব বয়সের দর্শকরা। এখনো নাচের রিয়েলিটি শোয়ের মহাগুরুর আসন আলো করে রাখেন তিনি।
মিঠুনের জন্মদিন বলে কথা, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছিল শুভেচ্ছা বার্তা। বাইরের একাধিক দেশেও মিঠুনকে নিয়ে উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। এতগুলো বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেললেও এখনো সুপারস্টার তকমা রয়ে গিয়েছে তাঁর নামের সঙ্গে। মিঠুনের অভিনয়, তাঁর নাচের ভক্ত সব বয়সের মানুষ।
কিন্তু এত বড় একজন সুপারস্টার হয়েও নিজের জন্মদিন পালন করেন না মিঠুন। বলিউডের প্রায় সব নায়ক নায়িকাদেরই জন্মদিনে থাকে রমরমা ব্যাপার। অনেকে চোখ ধাঁধানো পার্টিরও আয়োজন করেন। কিন্তু মিঠুন এসবের মাঝে ব্যতিক্রমী। পার্টি তো দূরের কথা, নিজের সন্তানদের প্রতিও তাঁর কড়া নির্দেশ থাকে তাঁকে যেন জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো না হয়।
কিন্তু এমনটা কেন? সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে মুখ খোলেন মিঠুনের বড় ছেলে মহাক্ষয় ওরফে মিমো চক্রবর্তী। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বাবার জন্মদিনে বিশেষ কী পরিকল্পনা রয়েছে? তখনই মিমো জানান, মিঠুন কখনোই তাঁর জন্মদিন পালন করেন না। এত বড় তারকা হয়েও ব্যক্তিগত জীবনে বরাবর গ্ল্যামার থেকে দূরেই থেকেছেন তিনি।
মিমো জানান, মিঠুন তাঁদের বলে রেখেছেন যেন জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো বা সেলিব্রেশন না হয়। কিন্তু ছেলেমেয়েরা বাবার কথা কানে তোলেন না। রাত বারোটা বাজতেই ফোন করে তাঁকে ‘হ্যাপি বার্থডে’ গেয়ে শোনান তাঁর চার ছেলেমেয়ে। সেই সঙ্গে মহাক্ষয় এও জানান, কর্মসূত্রে প্রায়ই এদিক ওদিক ঘুরতে হয় মিঠুনকে। তবে তিনি মুম্বইতে থাকলে ছেলেমেয়েরা মিলে আবদার করেন বাবার হাতের রান্না খাওয়ার।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০ সালে মিঠুন চক্রবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁর জন্মদিনে কোনো সেলিব্রেশন না করার। কারণ তাঁর দুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। উপরন্তু করোনা মহামারির কারণ অভিনেতার ছোট ছেলে নমশি চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, তাঁরা কোনো রকম সেলিব্রেশন করবেন না।