বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের অনেকেই অনুযোগ জানিয়ে থাকেন যে বিসিসিআই কিছু ক্রিকেটারদের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। বর্তমানে বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জয় শাহ তার পছন্দের কিছু খেলোয়াড়কে দলে সুযোগ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়ে থাকেন এবং সেই জন্যই এই ক্রিকেটাররা ঘন ঘন সুযোগ পেয়ে থাকেন। অনেকেই মনে করেন বিসিসিআইতে জয় শাহের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে এই খেলোয়াড়দেরও ভারতীয় দল থেকে বার দেওয়া হবে।
তার পাশাপাশি কিছু খেলোয়াড় এমনও রয়েছেন যারা প্রবল প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও ভারতীয় দলে সুযোগ পাবেন না। অনেকেই মনে করেন জয় শাহের পছন্দের এই ক্রিকেটাররা যখন ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়বেন তখন এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দলে সুযোগ হবে, যাদের মধ্যে একজন হলেন সঞ্জু স্যামসন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রায় গোটা ভারতীয় দল ব্যর্থ হওয়ার পর ঈশান কিষানের কাছে দুর্দান্ত সুযোগ ছিল নিজেকে ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের নির্ভরযোগ্য টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার। কিন্তু তিনি নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েও সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে যে সঞ্জু স্যামসনের মতো ক্রিকেটার উপলব্ধ থাকা সত্ত্বেও তাকে কেন সুযোগ দিলেন না নতুন ভারতীয় টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া।
তারপর যখন সঞ্জু স্যামসন শেষপর্যন্ত ভারতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তখন তিনি সেটা যথাযথভাবে গ্রহণ করতে পারেননি। ওই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজে তিনি প্রথমেই ব্যাট করতে নামার পর মিড উইকেটে তার ক্যাচ পড়েছিল। কিন্তু সেই জীবনদান তিনি কাজে লাগাতে পারেননি এবং এই ঘটনার পরের ওভারেই শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। এরপর ফিল্ডিং করতে গিয়ে তিনি চোট পান এবং ভারতীয় দল থেকে সেই সময়ের মতো ছিটকে যান।
তবে আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভারতীয় দল একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে যেখানে সিনিয়র ক্রিকেটার একবার বিশ্রাম নেবেন এমনটা শোনা যাচ্ছে। আইপিএলের মোটামুটি প্রশংসাযোগ্য পারফরম্যান্স করা সংযোগে সেখানে আরেকবার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। আর সেই সুযোগ যদি তিনি দু’হাত ভরে গ্রহণ করেন তাহলে হয়তো ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাকে ভারতীয় দলে দেখা যেতে পারে।