বাংলাহান্ট ডেস্ক : শুরু হয়ে গিয়েছে বর্ষার মৌসুম। এই সময়ে সমুদ্রে বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরা পড়ে মৎস্যজীবীদের জালে। ইলিশ মাছ তো বটেই, এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির মাছের এই সময় আগমন ঘটে। এবার সরকারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ার পর দিঘা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে যাচ্ছেন মাছের সন্ধানে।
সম্প্রতি ১৭টি ট্রলার মাঝ সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল মৎস্যসন্ধানে। কিন্তু মরশুমের প্রথমেই এভাবে যে তাদের ভাগ্য ঘুরে যেতে চলেছে তা তারা হয়তো আগে থেকে কল্পনাও করতে পারেননি। যে ১৭ টি ট্রলার মাঝ সমুদ্রে মাছের সন্ধানে গিয়েছিল তাদের জালে ধরা পড়েছে একটি বিশাল মাপের তেলিয়া ভোলা মাছ। জানা যাচ্ছে এই মাছটির ওজন প্রায় ৩০ কেজি।
বাবা সাহেব ৫ নম্বর ট্রলারটিতে এই বিশালাকৃতির মাছটি ধরা পড়েছে। হঠাৎ করে এত বড় পরিমাণ মাছ জালে ধরা পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত মৎস্যজীবীরা। মৎস্যজীবীরা তেলিয়া ভোলা মাছটিকে এরপর নিয়ে আসেন দিঘার মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে। তেলিয়া ভোলা মাছটি দিঘার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে আসলে সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকরা।
এত বড় আকৃতির মাছ সাধারণত দেখতে পাওয়া যায় না। এত বড় মাপের তেলিয়া ভোলা এক কথায় বিরল বলাই চলে। তাই সেটিকে চাক্ষুষ করার জন্য দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ এসে ভিড় জমান দিঘার মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে। এরপর সেই মাছটিকে নিলামে চড়ানো হয়। প্রেমানন্দ বর্মন নামে এক ব্যবসায়ী কিনে নেন গোটা তেলিয়া ভোলা মাছটিকে।
মাছটির মোট মূল্য ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা দাঁড়ায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি ১৮৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এই মাছটি। মৌসুমের শুরুতেই লক্ষ লক্ষ টাকায় একটি মাছ বিক্রি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আনন্দে আত্মহারা মৎস্যজীবীরা। রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। এই মাছ দেখতে ভিড় জমিয়েছেন আট থেকে আশি।
তেলিয়া ভোলা মাছের পটকা সহ বিভিন্ন অংশ লাগে ওষুধ তৈরির কাজে। তাই এই ধরনের মাছের চাহিদা বিশাল। চাহিদা বেশি থাকায় স্বাভাবিকভাবেই এই ধরনের মাছের দামও অনেকটা বেশি হয়। কোথাও এই ধরনের মাছ জালে ধরা পড়লে বড় ব্যবসায়ীরা মোটা টাকা দিয়ে সেই মাছ কিনে নেন। ভারত ছাড়াও বিদেশের বাজারেও এই ধরনের মাছের চাহিদা রয়েছে।