বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly), বঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই একটি নাম তোলপাড় ফেলে দিয়েছে গোটা বাংলায়। গত বছর থেকে বিচারপতির একের পর এক কড়া পর্যবেক্ষণ, শক্ত হাতে দুর্নীতির পর্দাফাঁস! তাঁর ভর্ৎসনার থেকে রেহাই পায়নি রাজ্যের নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে, কেন্দ্রীয় সংস্থাও। এবার সেই বিচারপতির এজলাসেই ঘটলো আরেক কাণ্ড।
আদালতে বসেই QR স্ক্যান করে জয়েন্টের ছাত্রের (Joint Student) জালিয়াতি ফাঁস করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিজের ও আইনজীবীর দুটি ফোন ব্যবহার করে ‘QR Code’ স্ক্যান করে ঠিক কীভাবে জালিয়াতি করা হয়েছিল তা বুঝলেন বিচারপতি।
প্রেক্ষাপট: চলতি বছরের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ওই পরীক্ষার্থী। তার দাবি, ফল বেরোনোর পর তিনি যখন প্রথম ওয়েবসাইটে নিজের র্যাঙ্ক দেখেন, তখন তার ‘GMR’ বা ‘General Merit Rank’ ছিল ১৬ এবং ‘PMR’ বা ‘Pharmacy Merit Rank’ ছিল ২৪১। তবে এরপরে ফের যখন তিনি নিজের র্যাঙ্ক দেখেন, তখন তার ‘GMR’ বা ‘General Merit Rank’ রাঙ্ক হয়ে যায় ১৪৩৯ এবং ‘PMR’ বা ‘Pharmacy Merit Rank’ দেখায় ৩২৮৫।
এরপরেই অভিযোগ নিয়ে আদালতে ছোটেন ওই যুবক। যা শুনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। এজলাসেই উত্তরপত্রে থাকা QR Code এর প্রসঙ্গ তোলেন উপস্থিত জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের আইনজীবী। আর তারপরই জট খুলতে শুরু হয়। দেখা যায় পরীক্ষার্থীর দ্বিতীয়বারের রাঙ্কটাই ঠিক।
এরপর বিচারপতির কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে ওই পরীক্ষার্থী। এরপর নিজেই তিনি স্বীকার করে নেন, তিনি র্যাঙ্ক সংক্রান্ত ডাউনলোডেড নথি জালিয়াতি করেছেন। আসলে অভিযুক্ত জয়েন্টের ফল সংক্রান্ত নথি ডাউনলোড জাল করতে পারলেও বোর্ডের কোড জাল করতে পারেননি। আর সেই থেকেই যখন বিচারপতি নিজের ‘QR Code’ স্ক্যান করেন, তখন সত্যি ঘটনা বেরিয়ে আসে।
সমস্ত ঘটনা খোলসা হওয়ার পর মামলা খারিজ করে দেন বিচারপতি। ওই পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা ভেবে কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ না করতে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডকে অনুরোধ করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।