লোকসভা ভোটের আগে ভাঙন! বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূল সাংসদ? বৈঠক ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা!

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের সংবাদ শিরেনামে পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মন্ডল (Sunil Mandal)। ফের বিজেপিতে (Bharatiya Janta Party) আসতে চলেছেন তিনি! এমনই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে। এর আগেও একাধিকবার দল বদলাবার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। সুনীলের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে বেশ কয়কজনের সঙ্গে বসে কিছু বিষয়ে আলোচনা করছেন সাংসদ। এরপরই চূড়ান্ত জল্পনা শুরু হয়। তবে এই প্রসঙ্গে, তৃণমূল বা বিজেপি কোনও পক্ষ থেকেই কোন প্রতিক্রিয়া পাওয় যায়নি। সুনীল ফের দলত্যাগ করলে তা আশ্চর্যের কিছুই নয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।

তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল একুশের বিধানসভা ভোটের আগে শাহী সভায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপির পতাকা তুলে নিয়েছিলেন এই সাংসদ। পরে শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। তার পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ঘরওয়াপসি করেন।

bjp tmc

২০১৯ ঘটা করে বিজেপি-তে এসেছিলেন। তারপর আচমকা দাবি করেন, ‘তৃণমূলেই তো আছি, বিজেপি-তে কবে গেলাম!’ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি-র ওয়েবসাইট দাবি করে, সুনীল গেরুয়া বাহিনীতে রয়েছেন। দলের টিকিটে ভোটে জেতা ১৮ জন সাংসদের পরে ১৯তম নামটি সুনীলের। শুধু নাম নয়, সেই সঙ্গে ঠিকানা-সহ ছবিও।

sunil tmc bjp

 

বিজেপি-তে যোগ দেওয়ায় ইতিমধ্যেই সুনীলের বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকারের কাছে দলত্যাগ-বিরোধী আইন কার্যকরের আবেদন করেছে তৃণমূল। এ নিয়ে অনেক বিতর্কও হয়েছে। কিন্তু সোমবার রাজনৈতিক মহলকে হতভম্ব করে দিয়ে সংসদে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে একযোগে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন সুনীল। ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে কেন্দ্রকে জবাব দিতে হবে বলে সকলের সঙ্গে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভও দেখান। তা নিয়ে প্রশ্ন করলে সংবাদমাধ্যমে সুনীল বলেন, ‘আমি তো তৃণমূলেই আছি! কখনও পদত্যাগই করিনি। আমি তৃণমূলে ছিলাম, আছি এবং আগামী দিনেও থাকব। তৃণমূলের সকলের সঙ্গে কাজ করছি। পেগাসাস নিয়েও প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমাদের নেত্রী তো দীর্ঘ দিন ধরেই এর বিরুদ্ধে সরব। এ ভাবে ফোনে আড়ি পাতার অর্থ ব্যক্তিগত সত্ত্বায় আঘাত হানা। কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত কথা বলব, সুখ-দুঃখের কথা ভাগ করে নেব, সেখানে নজরদারি চালানো চরম অন্যায় কাজ।’ এরপর পর ফের সুনীলের তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।

ad

Sudipto

সম্পর্কিত খবর