বাংলাহান্ট ডেস্ক: সরাসরি আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূলের সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) বিরুদ্ধে। সাধারণ মানুষের কষ্টের টাকা মেরে কোটি কোটি টাকা দামের ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি। সোমবার নুসরতের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে ইডির দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা।
জানা যাচ্ছে, মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার সঙ্গে কো অপারেটিভ ভাবে ফ্ল্যাট কেনার চুক্তি হয়েছিল কয়েকজনের। চুক্তি অনুযায়ী ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে ওই সংস্থাকে ফ্ল্যাট কেনা বাবদ দিয়েছিলেন ৪২৯ জন। তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে তিন বছরের মধ্যেই রাজারহাট হিডকোর কাছে ফ্ল্যাট পাবেন তারা।
কিন্তু বেশ কয়েক বছর কেটে যাওয়ার পরেও ফ্ল্যাট হাতে পাননি অভিযোগকারীরা। অভিযোগ উঠেছে, প্রায় ২৪ কোটি টাকা ভাগাভাগি হয়েছে সংস্থার ডিরেক্টরদের মধ্যে, যাদের মধ্যে অন্যতম নাম নুসরত জাহান। তিনি যে অভিযুক্ত সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন তা বারে বারে দাবি করেছেন অভিযোগকারীরা।
কিন্তু সংস্থার সঙ্গে নুসরতের যোগাযোগ ছিল কতটা? বিষয়টা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্র, যিনি নিজেও ওই সংস্থার ডিরেক্টরদের মধ্যে অন্যতম। বেলঘরিয়ায় তাঁর আবাসনের একটি ফ্ল্যাটেই রয়েছে এই সংস্থার অফিস। সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড এখন নাম বদলে হয়েছে ‘উই ব্রিং এক্সিম প্রাইভেট লিমিটেড’।
রূপলেখা জানান, বর্তমানে সংস্থার সঙ্গে আর কোনো যোগসূত্র না থাকলেও এক সময়ে নুসরতও এই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন। সে সময়ে সংস্থা তথা আরেক ডিরেক্টর রাকেশ সিংয়ের সঙ্গে বেশ দহরম মহরম ছিল নুসরতের। রূপলেখা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, রাকেশ সিং নাকি নুসরতকে প্রচুর সাহায্য করেছেন এক সময়ে। এমনকি অভিনেত্রীর বোন নুজহত জাহানের পড়াশোনার খরচও নাকি দিতেন রাকেশ সিং। কিন্তু ২০১৭ সালের পরে সংস্থা থেকে বেরিয়ে যান নুসরত।