বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবার রাজ্যে নয়া শিক্ষানীতি (New Education Policy) আনার পথে নবান্ন। মোদী সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি অক্ষরে অক্ষরে মানতে আগ্রহী নয় রাজ্য শিক্ষা দফতর। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে পৃথকভাবে রাজ্য শিক্ষানীতির খসড়া তৈরি করল নবান্ন (West Bengal new education policy)। সেই প্রস্তাবিত খসড়ায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এমসিকিইউ (MCQ) টাইপ কোয়েশ্চেন অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবছে রাজ্য। পাশাপাশি এবার থেকে অষ্টম শ্রেণি থেকেই চালু হতে পারে সেমিস্টার।
চলতি শিক্ষা বর্ষ থেকে জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। সেই শিক্ষানীতি হুবুহু মানতে নারাজ রাজ্য শিক্ষা দফতর। রাজ্য শিক্ষা নীতির খসড়া তৈরির জন্য শিক্ষা দফতর তরফে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে নিজেদের সুপারিশ পেশ করেছে।
জানা যাচ্ছে, কমিটির সমস্ত সুপারিশকে মান্যতা দেওয়া না হলেও বেশ সুপারিশ বাস্তবায়নে আগ্রহী রাজ্য শিক্ষা দফতর। স্কুল শিক্ষা দফতর ও উচ্চ শিক্ষা দফতরের মেনে নেওয়া প্রস্তাবগুলি এক করে নতুন ভাবে রাজ্য শিক্ষানীতি আনতে চলেছে নবান্ন। আগামী ৩ বছর ধরে ধাপে ধাপে এই বিষয়গুলি গুলি বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে ওই কমিটি।
কমিটির সুপারিশ: প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি স্তরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রম বিবেচনা করে বর্তমান সিলেবাসের পুনর্মূল্যায়ণ। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য অষ্টম শ্রেণি থেকেই সেমিস্টার ব্যবস্থা আনা হোক। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতেও সেমিস্টার ব্যবস্থা চালু হোক।
উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা মূলক এবং এমসিকিউ দু’রকমের মূল্যায়ন ব্যবস্থা রাখার সুপারিশ করেছে কমিটি। এই প্রস্তাবে আগ্রহী শিক্ষা দফতর। পাশাপাশি অষ্টম শ্রেণি থেকেই সেমিস্টার ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাবেও রাজি নবান্ন। জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রাইমারি থেকেই ৩টি ভাষা শিক্ষার কথা বলা হলেও কমিটির সুপারিশ আপার প্রাইমারি থেকে এই পদ্ধতি চালু করা হোক। জাতীয় শিক্ষানীতি নবম শ্রেণি থেকে উচ্চ শিক্ষার বিষয় নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। তবে সহমত নয় রাজ্য। কারণ এতে ছাত্রছাত্রীদের উপর চাপ বাড়বে। এক্ষেত্রে বর্তমান ৪+৪+২+২ ব্যবস্থাই চালু রাখতে চায় রাজ্য।