বাংলাহান্ট ডেস্ক: আবারো নক্ষত্র পতন সঙ্গীত জগতে। সঙ্গীতশিল্পী নির্মলা মিশ্রর (Nirmala Mishra) পর এবার প্রয়াত হলেন তাঁর স্বামী সুরকার প্রদীপ দাশগুপ্ত (Pradip Dasgupta)। স্বাধীনতা দিবসের দিনেই শোকের পরিবেশ তৈরি হল শিল্পীর পরিবারে। প্রদীপ দাশগুপ্তের মৃত্যু সংবাদ প্রথম প্রকাশ্যে আনেন একলব্য ব্যান্ডের সদস্য পার্থসারথী।
১৫ অগাস্ট ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গোটা দেশ যখন উদযাপন, উচ্ছ্বাসে মুখর, তখন সঙ্গীতশিল্পীর বাড়িতে বিষাদের সুর। জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ১২ টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুরকার। বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। উপরন্তু স্ত্রী নির্মলা মিশ্রর মৃত্যুর পরে আরোই একা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মনের দিক থেকে ভেঙে পড়েছিলেন।
পার্থসারথী একলব্যর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে জানা যায়, শিল্পী দম্পতি কার্যত একে অপরকে চোখে হারাতেন। একে অন্যকে ছাড়া নাকি থাকতেই পারতেন না তাঁরা। স্বামীকে নির্মলা মিশ্র ডাকতেন ‘জয়’ নামে। আর প্রদীপ দাশগুপ্তের কাছে স্ত্রী ছিলেন ‘জয়ী’।
জানা যায়, স্বামীর দেওয়া সুরে অনেক গানই গেয়েছেন নির্মলা মিশ্র। জনপ্রিয়তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে কখনো কোনো রেষারেষি বা মনোমালিন্য হয়নি। স্ত্রীর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দেখভাল করেছেন প্রদীপ দাশগুপ্ত। নির্মলা মিশ্রর প্রয়াণে নিজের সবথেকে বড় বন্ধুকে হারান তিনি। শেষমেষ বছর ঘুরতেই তিনিও পাড়ি দিলেন অমৃতলোকে।
ডাবিং স্টুডিওতে প্রথম দুজনের আলাপ বলে জানা যায়। কিন্তু তাঁদের বিয়ে হয় খুব অদ্ভূত ভাবে। মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ করতেই প্রদীপ দাশগুপ্তকে বিয়ে করেছিলেন নির্মলা মিশ্র। জানা যায়, ফুলশয্যায় ‘আমি তো তোমার চিরদিনের হাসি কান্নার সাথী’ গানের লাইন দিয়েই সঙ্গীতশিল্পীকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন সুরকার। এই গানটিতে সু্রও তিনিই দিয়েছিলেন। এক বছরের ব্যবধানে পরপর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সঙ্গীত মহলে।