বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার যে কোনও সভার আগেই রাজনৈতিক টানাপোড়েন তো চলতেই থাকে। এই যেমন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) খেজুরির সভাকে (Khejuri Sabdha) কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে উত্তাপ। সভা ঘিরে জটিলতা কাটাতে কলকাতা হাইকোর্টেও (Calcutta High Court) দায়ের হয়েছিল মামলা৷ এবার সেই মামলায় বিরাট জয় পেল শুভেন্দু।
প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতার সভার আগেই কাঁথিতে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছিল। নির্দেশ এসেছিল জেলা প্রশাসনের তরফে। এবার প্রশাসনের সেই নির্দেশই খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ রায় গেল শুভেন্দুর পক্ষেই। আগামী ২৬ অগাস্ট শুভেন্দু অধিকারীর সভায় অনুমতি দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী জানান, আগামী ১৯ অগাস্ট খেজুরিতে সভার করার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর৷ কিন্তু, ১৮ অগাস্ট থেকে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে দেন মহকুমাশাসক। থানা তরফেও সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপর ১৮ অগাস্টের বদলে ২৬ অগাস্ট সভা করার দিন স্থির করে বিজেপি শিবির।
আরও পড়ুন: শেষ চালও খাটল না অনুব্রতর! দিল্লি কোর্টের নির্দেশে এবার মহা বিপাকে কেষ্ট
এদিন সমস্ত ঘটনা শুনে কিছুটা ক্ষোভের সুরে বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘এটা পুলিশ শাসিত রাজ্য নয় বা জরুরি অবস্থাও জারি হয়নি। এভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না।”
পাশাপাশি রাজ্যের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে বিচারপতি বলেন, “বিরোধীদের আটকাতে বাচ্চাদের মত যুদ্ধ করছেন কেন? অশান্তির কথা যদি বলেন, যাদবপুরে কি ১৪৪ ধারা জারি করেছেন?’’ বিচারপতি আরও বলেন, “কোনও কারণ না দেখিয়ে সভার আগের দিন ১৪৪ ধারা জারি করলে সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক।”
আরও পড়ুন: পার্থর পর এবার দুর্নীতিতে আরও এক ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রীর যোগ! কাকে নিজামে তলব করল CBI?
জাস্টিস সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, “যেসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা জারি করা যায়, তার কোনওটাই খেজুরির ক্ষেত্রে ঘটেনি। ভাঙড়েও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। খেজুরি তো ভাঙড় নয়।’’ এরপরেই শুভেন্দুর সভায় অনুমতি দেওয়া হয়। তবে আদালতের নির্দেশ, দুপুর ২ টো থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত সভা করা যাবে। সভায় কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না।